শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তফাপত্র বিধিমেনে লেখা ও জমা দেওয়া হয়নি বলে ঘোষণা করে তিনি আগামী ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দুবাবুকে বিধানসভায় তলব করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, ইস্তফাপত্র গৃহীত না হওয়ায় শুভেন্দু অধিকারী এখনো তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্য।
এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টের পর হঠাৎ বিধানসভায় এসে শুভেন্দু অধিকারী আমার সচিবালয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। আমি সেদিন বেলা ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত বিধানসভায় ছিলাম। উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আসতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি।
বিমানবাবু জানিয়েছেন, আমার সচিবালয় থেকে আমি শুভেন্দু অধিকারীর যে ইস্তফাপত্র পেয়েছি তাতে কোনও তারিখের উল্লেখ নেই। বিধানসভার রুলবুকে ইস্তফার যে বয়ান লেখা রয়েছে তার সঙ্গে শুভেন্দুর চিঠির বয়ান মেলে না। পরে ই মেলে আরেকটি চিঠি পাঠান শুভেন্দু। তাতে তারিখের উল্লেখ রয়েছে। তাহলে কোন চিঠিটিকে আমি গ্রহণ করবো?
স্পিকার জানিয়েছেন, বিধায়কের ইস্তফার ক্ষেত্রে সশরীরে স্পিকারের সামনে হাজির হয়ে ইস্তফা দেওয়া বাঞ্ছনীয়। কোনও কারণে কেউ আসতে না পারলে তিনি কোনও চাপের মুখে ইস্তফা দিচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখার অধিকার স্পিকারের রয়েছে। স্পিকার স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত বা খারিজ কোনওটাই হয়নি।
এর পর বিমানবাবু জানান, সেজন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর বেলা ২টোয় তাঁকে সশরীরে বিধানসভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ই-মেইলে তাঁকে এই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেদিন তাঁর সঙ্গে কথা বলে তিনি কোনও চাপে ইস্তফা দিয়েছেন কি না তা বোঝার চেষ্টা করবো। ততক্ষণ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্য।