শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র কেরে রণক্ষেত্রের চেহার নিল নিউ জলপাইগুড়ি।
শিলিগুড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার টি পার্কের স্থলবন্দরে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজে নিতে হবে। এই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিউ জলপাইগুড়ি INTTUC এর শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পার্কের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সূত্রের খবর, এদিন শিলিগুড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার টি পার্ক স্থলবন্দরের গেটে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ নিজেদের দাবি নিয়ে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। পরে সেই বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা গেট দিয়ে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
একই সাথে ভাঙচুর চালানো হয় স্থল বন্দরের কার্যালয় । এর জেরে শুরু হয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ জলপাইগুড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ,বিক্ষোভ আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও নেতাদের আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিয়ে গেছে বলে খবর।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নিউ জলপাইগুড়ি শাখার সভাপতি প্রসেনজিত রায়ের অভিযোগ,এদিন শ্রমিকেরা যখন টি পার্কের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল সেই সময় বন্দরের ভেতর থেকে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয় । অপরদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে স্থলবন্দরের ডাইরেক্টর সঞ্জয় মারওয়ার গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি, বলেন এদিন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা শ্রমিকদের নিয়ে এসে স্থলবন্দরে ভাঙচুর চালিয়েছে। কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর করা করেছে। তবে পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।