প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গেল কলকাতা পুরসভার একটি দল। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার তরফে সন্দীপের বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই সন্দীপের বাড়িতে পুরসভার একটি অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হয়েছে। বাড়িটির একাংশ অবৈধ ভাবে নির্মিত কি না, নির্মিত হলে তার আয়তন কতটা, এই সব খতিয়ে দেখবেন পুরসভার আধিকারিকেরা।
সন্দীপের যে নোটিস গিয়েছিল তাতে বলা হয়, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার জীবন দাস এবং কিরণ মণ্ডল ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সন্দীপের বাড়িতে যাবেন। সেই মতোই সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ সন্দীপের বাড়িতে যান পুর আধিকারিকেরা।
আর জি করে মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জুনিয়র ডাক্তারেরা সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে অভিযোগ করেছিলেন সেই কারণেই সন্দীপের অপসারণের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আন্দোলনের চাপে পড়ে তিনি পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। প্রথমে ধর্ষণ-খুন এবং পরে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি সন্দীপই। পরে ওই মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়।