কথায় বলে সব তীর্থ বারবার গঙ্গা সাগর একবার। যদিও গত কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। যার জেরে শুধু পৌষ সংক্রান্তি নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও গঙ্গাসাগরে যাওয়া হয়ে উঠেছে অনেকটাই সহজ। তবে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগরে স্নান ঘিরে বরাবরই পুণ্যার্থীদের মধ্যে থাকে এক অন্য আবেগ ও উন্মাদন। মকর সংক্রান্তির ভোরে পুণ্যস্নান করতে শুধু স্থানীয়রাই নয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও ছুটে যান লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। আট থেকে আশি, সমস্ত বয়সের মানুষের সমাগম হয় এই সময়। উদ্দেশ্য একটাই, স্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে পুণ্যার্জন।
তবে এবার পরিস্থিতি অন্য, করোনা আহবে অনেক ক্ষেত্রেই বড় জমায়েত ঘিরে দেখা দিয়েছে সংশয়। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর এবারেও হবে গঙ্গাসাগর মেলা। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? জেল প্রশাসন সূত্রে যানা যাচ্ছে, গতবারের মতোই থাকছে সমস্ত ব্যবস্থা। মানা হবে সমস্ত কোভিড প্রোটোকল। যাঁরা বাইরে থেকে আসবেন তাঁদের প্রথমে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে, তারপর বাসে করে মেলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। যদি কারও শরীরে অসুস্থতা পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম বা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া মোতায়েন রাখা হবে অতিরিক্ত চিকিৎসক। থাকবে মেডিক্যাল টিম সহ বাড়তি লোকবল। পাশাপাশি থাকবে জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থাও। মেলার সময়সীমাতেও কোনওরকম পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সমস্ত কোভিড বিধি মেনে যাতে মেলার আয়োজন করা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে প্রস্তুতি। স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা দফায় দফায় বৈঠকও করছেন। এখন দেখার করোনা পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত কত পুণ্যার্থী ভিড় জমান সাগরসঙ্গমে। ।