সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নারীনির্যাতনের মতো ঘটনা। পুজোর মাসেও মন খারাপ সকলেরই। যেখানে সমাজের ‘লক্ষ্মী’রাই নিগৃহীত সেখানে অপরাজিতা আঢ্যের কাছে জাঁকজমক করে লক্ষ্মীপুজো যেন অর্থহীন। তাই অভিনেত্রীর এই বছরের পুজো একেবারেই আড়ম্বরহীন। প্রতি বছরই ধুমধাম করে নিষ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন বাড়িতে। তবে এই বছরেই ছন্দপতন! বিজয়ার পরেই সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখলেন, “কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ফটফটে পূর্ণিমা রাতে লক্ষ্মীদেবী মর্ত্যলোকে অবতরণ করে ঘরে আসেন। জিজ্ঞেস করেন ‘কে জাগে?’ যে জেগে থাকে, তার ঘর বৈভবে পূর্ণ করে চলে যান লক্ষ্মীদেবী। এই বৈভব প্রকৃত অর্থেই যে মননের বৈভব, আর এই জাগরণ যে চেতনার নবজাগরণ– তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।” পাশাপাশি আরজি কর-কাণ্ড নিয়েও তিনি লেখেন, ‘এমন এক সময়ের সম্মুখীন আমরা, যখন আমাদের ঘরের লক্ষ্মীরা দেবীপক্ষের অনেক আগে থেকেই আত্মপক্ষের লড়াইয়ে বুক বেঁধেছে, প্রতি রাতে রাজপথে রাজপথে প্রশ্নচিহ্ন রেখেছে ‘কার চেতনা জাগ্রত?’ কে আছো এই নবজাগরণের লড়াই মাথায় ধারণ করবে?…সকলেই জানেন, বিশেষত আমার মিডিয়া বন্ধুরা খুব ভালো করেই জানেন যে কোজাগরী পুজোর এই বিশেষ দিনে আমি, অপরাজিতা বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করি প্রতি বছরে। কিন্তু এই বছরটা উদযাপন থাকছে না। যে সময়ে রক্তমাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা প্রতিনিয়ত, সেই সময়ে উপাসনা থাকলেও লক্ষ্মীদেবীর পুজো উদযাপন খানিকটা নিরর্থক। তাই অনেক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম… লক্ষ্মীদেবী সকলকে চেতনার বৈভব প্রদান করুন, এই কামনা করি।’