তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। বুধবার দুপুরে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট এর তরফে সংবাদিক বৈঠক থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের লালবাজার অভিযান নিয়ে কুণাল ঘোষ মিথ্যে অপপ্রচার করেছেন। এরই প্রতিবাদে এই সংবাদিক বৈঠক। ফ্রন্ট এর তরফে এদিন জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, “মঙ্গলবার একটি ছবি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে আন্দোলনকারীদের তরফে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল লালবাজারের অভিযান নিয়ে মধ্যস্থতার জন্য। আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট থেকে পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি, ওর সঙ্গে আমরা কোনও যোগাযোগ করিনি। ঘটনাচক্রে একটি সংবাদপত্রের অফিসে ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানে না জানিয়ে উনি আমাদের প্রতিনিধিদের ছবি তুলে অপপ্রচার করেছেন। এর নিন্দা জানাতেই এই সাংবাদিক বৈঠক।”
কিঞ্জল আরও বলেন, “সহপাঠীর বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলন শুরু থেকেই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। তাই কোনও রাজনৈতিক দল এর থেকে সুবিধা নিতে চাইলে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাবই।” প্রসঙ্গত, এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানে যোগ দিতে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছিল বিজেপির তমলুকের সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। এবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও অপপ্রচারের অভিযোগে সরব হন তাঁরা। এ ব্যাপারে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ চেয়ে গত সোমবার বিকেল থেকে লালবাজারের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের সেই অবস্থান নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট করে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে কুণালের বিরুদ্ধে। যে চারজন ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে কুণাল ছবি পোস্ট করেছিলেন, এদিন তাঁদেরকে সামনে রেখেই সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই চার পড়ুয়াও জানান, তাঁরা আরজি কর ইস্যুতে একটি সংবাদপত্রের অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কুণালবাবুর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়। অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে ছবি তুলে ‘মধ্যস্থতা’র প্রচার করেছিলেন কুণাল। ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে বুধবার রাত দখলে ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওই আন্দোলনে দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে এদিন যোগদানের আহ্বান জানান তাঁরা।