More
    Homeঅনান্যসাঁতার - শ্রেষ্ঠ শরীরচর্চা

    সাঁতার – শ্রেষ্ঠ শরীরচর্চা

    একথা ঠিক নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে এখন ভালো সাঁতার কাটার মতো জলাশয় আর নেই বললেই চলে। তবে যারা আর্থিকভাবে খুব সমৃদ্ধ তারা হয়তো বাড়িতে সুইমিং পুল তৈরি করেন। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম। তবুও শরীর বিজ্ঞানীরা বলেন,সাঁতার কাটার মতো ব্যায়াম আর নেই। সকাল, সন্ধে অথবা রাত্রি, যে কোনও সময় সাঁতার কাটতে পারেন। উপকার সবসময়েই। রোজ না হলেও সপ্তাহে তিনদিন ৩০-৪৫ মিনিট সাঁতার কাটলেই যথেষ্ট। শিশুদের জন্যও উপকারি এক্সারসাইজ। ছোটরা ৩০ মিনিট জলে থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। তবে খালি পেটে বা একদম ভরা পেটে সাঁতার না কাটাই উচিত। অল্প খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে সাঁতার কাটা যেতে পারে।

     

     

     

     

     

    একাধিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেবে এই সাঁতার।যেমন –

     

     

     

     

     

     

     

    ১) আর্থারাইটিস –

     

     

     

    সাঁতার কাটার সময় শরীর জলে ডুবে থাকায় শরীরের ওজন কমে যায় ফলে শরীরের চাপ জয়েণ্টে পড়ে না৷ আর্থারাইটিস, জয়েণ্ট পেন কমাতেও সাঁতার দারুণ কাজ দেয়।

     

     

     

     

     

    ২) হার্ট ভাল থাকে –

     

     

     

    সাঁতার কাটলে শরীরের সমস্ত পেশিতে একই সঙ্গে চাপ পড়ে৷ ফলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ হার্ট ভাল থাকে। ক্যালোরির ক্ষয়ও অনেক বেশি হয়।

     

     

     

     

     

    ৩) সুস্থ ফুসফুস

     

     

     

    সাঁতার কাটলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ঠিক থাকে, ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বেড়ে যায়৷ ফুসফুসের অসুখ দূরে থাকে।

     

     

     

     

     

    ৪) হালকা শরীর-মন –

     

     

     

    কাজের চাপ কিংবা মন ভাল নেই– সাঁতার ভাল করে দেয় দু’ই৷ সাঁতার কাটার সময় শরীর থেকে ‘ফিল গুড’ হরমোন (এনডোরফিনস) নির্গত হয় যা অবসাদ, অতিরিক্ত চাপ, চিন্তাকে সহজেই দূর করে।

     

     

     

     

     

     

     

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এছাড়া, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের সম্ভাবনা কমে, ঘনঘন ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দির প্রবণতা কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে ও শরীর হয় সুঠাম।

     

     

     

     

     

    সাঁতার নানা ধরনের। তার মধ্যে কোনো ধরনের সাঁতার কতক্ষণ করা উচিত তার একটি তালিকা দিয়েছেন একজন প্রখ্যাত সাঁতার প্রশিক্ষক। তিনি ক্যালোরি ঝরানোর তালিকাও দিয়েছেন।

     

     

     

     

     

     

     

    * ব্রেস্ট স্ট্রোক – ১০ মিনিট, ৬০ ক্যালোরি

     

     

     

    * ব্যাক স্ট্রোক – ১০ মিনিট, ৮০ ক্যালোরি

     

     

     

    * ফ্রি স্টাইল – ১০ মিনিট, ১০০ ক্যালোরি

     

     

     

    * বাটার ফ্লাই- ১০ মিনিট, ১৫০ ক্যালোরি

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments