সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। তিনি গেরুয়া শিবির থেকে বিধানসভা ভোটে লড়তে পারেন বলে খবর। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ ছিলেন বেচারাম মান্না ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কিন্তু ইদানীং দুজনের বিরুদ্ধে বিরোধ তীব্র হয়। পাশের কেন্দ্র তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন মাস্টারমশাই। এ বার রবীন্দ্রনাথ বাবুকে আর প্রার্থী করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর আর কাল বিলম্ব করেননি তিনি। আগেই জানিয়েছিলেন যে তৃণমূল টিকিট না দিলে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াবেন। তবে তা না করে বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। বস্তুত লোকসভা ভোটে হুগলিতে হেরে যাওয়ার পরই তৃণমূল অনেকটা আন্দোলিত। কিছুদিন আগে বেচারামও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। কদিন আগে আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেন, বেচারাম মান্না তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। কারণ তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। অধীর চৌধুরী এ কথা ফাঁস করে দেওয়ার পর বেচারাম তা অস্বীকার করেন। উল্টে তিনি অধীর চৌধুরীর সমালোচনা করেন। কিন্তু পাল্টা হুমকি দিয়ে অধীর চৌধুরীর অনুগামীরা বলেন, বেচারামকে এ সব কথা প্রত্যাহার করতে হবে। আজকে তথ্য প্রযুক্তির যুগে তথ্যপ্রমাণ দেওয়া অসম্ভব নয়। তিনি যে অধীরবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তা প্রমাণ করে দিতে তাঁদের এক সেকেন্ডও সময় লাগবে না। সব মিলিয়ে যা দাঁড়াল তা তৃণমূলের জন্য সুখকর নয় বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ, এগারো সালে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই দুই জায়গাতেও এখন তীব্র বিরোধিতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।