সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। তারপরও এখনও উত্তপ্ত হয়ে আছে অসম-মিজোরাম সীমান্ত। তারইমধ্যে আগামিকাল (বুধবার) বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, বৈঠকে অসম ও মিজোরামের মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি-সহ দুই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। সম্ভবত থাকবেন আধা-সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরাও।
সেই বৈঠকের আগেও অসম এবং মিজোরামের মধ্যে দোষারোপের পালা চলছে। মঙ্গলবার শিলচর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘মিজোরাম গতকাল যা করেছে, আমরা তা করতে পারব না। আমরা কখনও ভারতীয়দের বিরুদ্ধে গুলি ব্যবহার করব না। ওটা আমাদের ডিএনএতে নেই। মিজোরামের সঙ্গে আমাদের কোনও রাজনৈতিক লড়াই নেই। কিন্তু গতকালের পিছনে কারণ আছে।’ সেই কারণ ব্যাখ্যাও করেন হিমন্ত। তিনি দাবি করেন, গত কয়েক মাসে মিজোরাম থেকে অনুপ্রবেশ এবং গবাদি পশু পাচার রুখে দিয়েছে অসম। মায়ানমার থেকে যাঁরা মিজোরামে ঢোকেন, তাঁরা অসমে ডিমা হাসাও জেলায় থাকতে চান। তাঁদেরও অসমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন হিমন্ত।