পায়ে চোট। আর সেই যন্ত্রণা–কষ্ট–আঘাত নিয়েই ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী হুইল চেয়ার। সোমবার থেকে আবার নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অদম্য জেদ, হার না মানার মানসিকতা নিয়ে তাঁর সফর শুরু হবে ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ফেরার পরই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, কবে আবার নামছেন মমতা? সূত্রের খবর, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ হবে রবিবার। আর সোমবার থেকেই প্রচার কর্মসূচিতে নেমে পড়ছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রধান। হুইল চেয়ারেই।
রবিবার, নন্দীগ্রাম দিবস (১৪ মার্চ)। এই দিনটিকেই তিনি বেছে নিয়েছেন বাড়ি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের জন্য। বুধবার সন্ধ্যার ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল রাজ্য–রাজনীতির দরবারে। মেডিক্যাল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, তৃণমূল সুপ্রিমোর চোট বেশ গুরুতর। চিকিৎসকরা তাঁকে ক’দিন বিশ্রামে থাকার জন্য পরামর্শও দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের উত্তপ্ত আবহে বসে থাকতে নারাজ মমতা। বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেন, ‘দু’তিন দিনের মধ্যেই ফিরে যেতে পারব নিজের ফিল্ডে। পায়ের সমস্যা থাকবে। হয়তো কিছুদিন হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে।’ আর এই হুইল চেয়ারে চেপেই সোমবার থেকে মমতা প্রচার কর্মসূচিতে নেমে পড়বেন বলে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী আরও ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকুন। তা ছাড়াও, অন্তত ৭ দিন বিশ্রাম নিন। মমতা কিছুটা জোর করেই বাড়ি ফিরেছেন। তাঁকে ৭ দিনের মাথায় ফের পরীক্ষা করার কথা চিকিৎসকদের। ভোট প্রচারে মমতার একটানা ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। আঘাত পেলেও কর্মসূচিতে বদল করতে চাইছেন না মমতা। জঙ্গলমহলের কোনও একটি জায়গায় তিনি কর্মসূচি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ১৩ ও ১৪ মার্চ পুরুলিয়া–বাঁকুড়ায় তাঁর সভা হচ্ছে না। কারণ মমতা চান, কষ্ট হলেও মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে। ফলে পায়ের আঘাত নিয়ে সোমবার থেকে মমতার প্রচারের দিকেই নজর থাকবে সবার।