আরজি কর কাণ্ডে পুলিশদের কার্যকারিতা নিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই ঘটনার পরই লালবাজারে ডাকা হয় তাঁকে। এরপরেই গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতে নিজের ভুল স্বীকার করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট মুছে দেওয়ার কথা জানান সুখেন্দু। এদিন হাইকোর্টে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্যগত কিছু বিভ্রান্তির কারণে ভুল করে এই পোস্টগুলি করেছিলাম। সেটি ইতিমধ্যেই মুছে দিয়েছি।’ রাজ্যসভা সাংসদের এই বক্তব্যের পরেই তাঁর টুইটারে ওই পোস্টগুলির দেখা মেলেনি। এরপরেই রাজ্যের আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘মামলাকারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি তাঁর টুইট ডিলিট করে দেবেন। ফলে আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার আর জি কর কাণ্ডে সমাজমাধ্যমে তদন্ত সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন এবং প্রস্তাব তুলেছিলেন সুখেন্দু। তিনি দাবি করেছিলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি। তার পরেই রবিবার তাঁকে তলব করে লালবাজার। তিনি না যাওয়ায় ফের তাঁকে তলব করা হয়। এই আবহে হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা। এরপরেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।