বিসিসিআই সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে, নাকি ছয় বছরের জন্য স্বপদে বহাল থাকবেন মহারাজ, তা জানা যাবে আজই। সভাপতি সৌরভ এবং সচিব জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর স্বার্থে বিসিসিআইয়ের আবেদেনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। আদালত মনোনিত লোধা কমিশনের কুলিং অফের নিয়ম শিথিল করার আবেদন করা হয়েছে।
নাগেশ্বর রাও নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের আজ বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো আবেদনের শুনানি হবে। ওই বেঞ্চে সামিল থাকবেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং অজয় রাস্তোগি।
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ২২ জুলাই সেই আবেদন গ্রহণ করেছিল দেশের প্রধান বিচার শরদ অরবিন্দ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নেওয়ার কথা। একই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। ৭ মে-তে শেষ হয়েছে তাঁর মেয়াদ।
বিসিসিআইয়ের বিভিন্ন পদে সত্তোরোর্ধ কোনও ব্যক্তি আসীন থাকুন, তেমনটা চায় না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবির। সে ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানিও আজ।