More
    Homeঅনান্যস্কিন এবং হেয়ার কেয়ার

    স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার

    ত্বকের যত্ন

    ১. স্কিন কেয়ার-এ বেশ মনোযোগী হতে হবে। কারণ এতদিন স্কিনের উপর বেশ টর্চার হয়ে গিয়েছে। তাই বেসিক স্কিন কেয়ার যেমন- ক্লেঞ্জিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রুটিন অবশ্যই মেনে চলবেন প্রোপারলি। এছাড়াও স্ক্রাবিং বাদ দেয়া যাবে না কিন্তু একদমই।

     

    ২.  ঘন ঘন মেকআপ এবং স্কিন-এর প্রোপার কেয়ার না নেয়ার ফলে স্কিন-এ যে ড্যামেজ টা হয় তা রিপেয়ার করতে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা জেল। আপনি চাইলে তাজা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আবার হাতের কাছে না থাকলে মার্কেটে এভেইলেবল অ্যালোভেরা জেল-গুলোও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল স্কিন কে সফট এবং হাইড্রেট করার পাশাপাশি পিম্পল দূর করতেও সাহায্য করবে।

     

    ৩. ত্বকে সুন্দর ভাবে হাইড্রেশন দিতে পারে শীট মাস্ক-গুলো। সপ্তাহে একদিন শীট মাস্ক লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট পর মাস্ক-টি তুলে ফেলবেন। ধোয়ার দরকার নেই। এরপর স্কিনে রয়ে যাওয়া সিরাম টুকু প্যাটিং মোশনে স্কিনে ম্যাসাজ করে নিন। এটি একদম ঝটপট সল্যুশন স্কিনে হাইড্রেশন এবং সফটনেস ফিরে পাওয়ার।

     

    ৪. বেশ কয়েকদিন স্কিনটাকে একটু রেস্ট দিতে, সকল ধরনের মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। তবে খুব বেশী প্রয়োজন হলে যতসম্ভব কম প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

     

    ৫. গ্লোয়িং স্কিন পেতে ফেইস-এ সিরাম এপ্লাই করতে পারেন। এটা বেশ ভালো কাজে দিবে।

     

    ৬. এবার আমি জানাবো কিছু হোমমেইড স্কিন কেয়ার মাস্ক সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই –

     

    – একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ মশুর ডালের গুঁড়ো, ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২-৩ ফোটা টি ট্রি অয়েল, পরিমাণমতো রোজ ওয়াটার নিয়ে মিশিয়ে নিন। মুখ ক্লিন করে নিয়ে এই মাস্ক-টি মুখ এবং গলায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে নিয়ে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।

     

    – একটি বাটিতে ১ চা চামচ চারকোল পাউডার, ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ চা চামচ মধু নিয়ে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ পরিষ্কার করে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে নিয়ে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

     

    চুলের যত্ন

    ১. স্কিনের মতো চুলের ব্যাপারেও আমি বলব, হেয়ার কেয়ারের বেসিক রুটিন মেনে চলুন। সপ্তাহে ৩ দিন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার মাস্ট লাগাবেন। তবে এর বেশী শ্যাম্পু না করাই ভালো। এতে চুল আরো বেশী রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। চুলের গোড়া থেকে ন্যাচারাল অয়েল প্রডিউস করতে একটু সময় তো দিতেই হবে। ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে তা তো সম্ভব হবে না।

     

    ২. শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার-এর পাশাপাশি নিয়মিত চুলে তেল লাগাতে হবে । আপনার পছন্দের যে কোনো তেল লাগাতে পারেন। এতে চুল ময়েশ্চাররাইজড থাকবে এবং ড্যামেজ এবং ডালনেস কাটিয়ে উঠবে।

     

    ৩. গোসলের পর ভেজা চুলে হেয়ার সিরাম লাগাতে পারেন। এতে করে ড্যামেজ চুল কিছুটা ম্যানেজেবল হবে।

     

    ৪. বেশ কিছুদিন হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকতে হবে।

     

    ৫. হেয়ার কালার অথবা রিবন্ডিং করে থাকেন, তবে কিন্তু চুলের যত্নের প্রতি বেশ সচেতন হতে হবে। প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট বেশ ভালো কাজ করবে।

     

    ৬. এছাড়াও ঘরে বসেই চুলের যত্নে বেশ কিছু হোমমেইড হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।এখানে, আমি কিছু হেয়ার মাস্ক-এর রেসিপি জানিয়ে দিচ্ছি।

     

    – একটি ছোট বোলে হাফ কাপ কোকোনাট মিল্ক, ১ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ ভেজানো ওটস, ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগান।

     

    – একটি বাটিতে ১ টা ডিম, হাফ কাপ টক দই, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments