হায়ালুরনিক অ্যাসিড কী?
হায়ালুরনিক অ্যাসিড হচ্ছে সুগার মলিকিউল, যা আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় এবং আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড, ময়েশ্চারাইজড এবং প্লাম্পি রাখতে সাহায্য করে।
কেন হায়ালুরনিক অ্যাসিড ব্যবহার করব?
আমাদের ত্বকের টেকশ্চার এবং সফটনেস নির্ভর করে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতার ওপর। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা হায়ালুরনিক অ্যাসিড কমতে থাকে। আর ত্বকে হায়ালুরনিক অ্যাসিড কমতে থাকা মানে ত্বকে পানির পরিমাণ অর্থাৎ আর্দ্রতা কমে যাওয়া। ত্বকে পানি কমে গেলে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। যার ফলে চোখের নিচে ভাঁজ, ফাইন লাইনস ও রিংকেল এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর সাথে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ এবং নিস্তেজ।
তাই ত্বককে সতেজ এবং হেলদি রাখতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।ত্বকে হাইড্রেশন সরবরাহ করে ত্বককে সুন্দর ও হাইড্রেটেড রাখাই হায়ালুরনিক অ্যাসিডের কাজ।
হায়ালুরনিক অ্যাসিডের বিভিন্ন ফর্ম
আমাদের ত্বকের জন্য উপযোগী বিভিন্ন ফর্মে হায়ালুরনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। যেমন- সিরাম, ময়েশ্চারাইজার এবং এসেন্স হিসেবে।
কোন ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী?
রুক্ষ ত্বকের জন্য হায়ালুরনিক অ্যাসিড আশীর্বাদস্বরূপ। রুক্ষ হয়ে যাওয়া নিস্তেজ ত্বককে পুনরায় সজীব করে তুলতে এর অবদান অনেক। এটি নিস্তেজ হয়ে যাওয়া সেলগুলোকে পুনরায় সতেজ করে এবং একই সাথে উজ্জীবিত করে। ত্বকে যদি একনে, র্যাশ বা কোনোরকম ইরেটেশন হয়, সেসব স্থানে হায়ালুরনিক অ্যাসিড খুব ভালো কাজ করে।
হায়ালুরনিক অ্যাসিডের উপকারিতা
১। হাইড্রেশনে সাহায্য কর
এই উপাদানটি আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকের সেলগুলোকে হাইড্রেটেড করে। ত্বকের প্রতিটি স্তরে গিয়ে সেলগুলোকে পুনরায় আর্দ্রতা দিয়ে থাকে এবং ত্বকে গ্লোয়িং লুক ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি পরিবেশ থেকে পানি টেনে নেয় এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রেখে ত্বককে দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন সরবরাহ করবে।
২। ময়েশ্চারাইজড করে
‘শুষ্কভাব’ আমাদের ত্বককে বেশি ক্ষতি করে এবং ত্বকের ব্যারিয়ার নষ্ট করে দেয়। হায়ালুরনিক এসিড আমাদের ত্বকের ব্যারিয়ারকে করে শক্তিশালী। আর এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ত্বকের একনি, র্যাশ বা যেকোনো ইরেটেশন কমাতে সাহায্য করে।
৩। কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে
ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখতে সহায়তা করে হায়ালুরনিক অ্যাসিড। এর কাজই হচ্ছে কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করা।