স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের দফতর নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং’য়ে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক টিম। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তাঁরা। শর্ট সার্কিটের জেরেই অগ্নিকাণ্ড বলেই দাবি করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, পূর্ব রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তভার নিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এর এ অর্থাত্ গাফিলতির কারণে মৃত্যু ছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।
এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তিনি রেলের গাফিলতির পাশাপাশি, দমকলের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকারও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এখানে রাজনীতি করা উচিত নয়। ঘটনায় রেল ও রাজ্য- উভয়েরই গাফিলতি রয়েছে।
এই বহুতলে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে দমকল। যদি না থাকে, তা হলে কেন এই ব্যবস্থা ছিল না তা নিয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যখন আগুন লাগে, ভবনের কোনও নকশা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে উদ্ধারকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ৬টা ১০ মিনিটে স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসের ১৩ তলায় আগুন লাগে। সেই সময় অফিসে প্রায় ৫০০ জন ছিলেন। আগুনে ছড়িয়ে পড়ে ১২ তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সবমিলিয়ে মোট ২৫ টি ইঞ্জিন। ভোর ৪টে ১০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মঙ্গলবার সকালেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের ইঞ্জিন।
প্রসঙ্গত, বিল্ডিংয়ের দুটি লিফট থেকে ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত একটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদের মধ্যে রেলের আধিকারিক, দমকল কর্মী এবং এক জন পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আলাদা ভাবে তদন্ত করবে হেয়ার স্ট্রিট থানা। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের নিহত এএসআই অমিত ভাওয়ালকে লালবাজারে গান স্যালুট দেয় কলকাতা পুলিশের।