‘কেশসজ্জাশিল্পীকে কোনওদিন সাসপেন্ড করাই হয়নি’, হ্যাঁ, ঠিক এমনই মন্তব্য করেছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সেই সঙ্গে তাঁর উপর অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়েছিলেন প্রমাণও। এবার সেই প্রমাণই একটি বিবৃতির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের সমানে আনল ডিরেক্টর্স গিল্ড। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত কলাকুশলীদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকের সাসপেনশনের চিঠি প্রকাশ্যে আনল গিল্ড। বিবৃতিতে সাফ জানানো হয়েছে, ‘ফেডারেশনের সভাপতি যে সত্যিই বলছেন না, তার প্রমাণ সহ এই সাসপেনশনের চিঠি গুলো আমরা সংবাদমাধ্যমে পেশ করা হল। যাঁদের যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই কর্মহীনতার কারণে সংসার চালাতে পারছেন না। এই মুহূর্তে ফেডারেশনের সভাপতির অসত্য বক্তব্য সম্পর্কিত কাগজপত্র সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরলাম। বাকি অসত্য ভাষণ সম্পর্কেও আপনাদের প্রমাণ সহ জানাব। গিল্ডের তরফ থেকে প্রথমেই প্রকাশ্যে নানা হয় গণতান্ত্রিক নিয়মে নতুন কমিটি নির্বাচনের দাবি জানানোর পত্র। গিল্ডের দাবি সেই নির্বাচনে সম্মতি জানানোই হয়ে যায় কাল। যার কারণে কেশসজ্জাশিল্পীদের গিল্ড তনুশ্রী দাস, চন্দ্রা মিত্র সহ একাধিক সদস্যকে সাসপেন্ড করে। সেখানে সাসপেনশনের চিঠিও সঙ্গে তুলে ধরেছে পরিচালকদের গিল্ড। প্রমাণ সহ জানানো হয় প্রায় আড়াই মাসের উপর কর্মবিরতিতে রাখা হয়েছিল তাঁদের। যার ফলে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কেশসজ্জাশিল্পী চন্দ্রা মিত্র। সবশেষে গিল্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘ফেডারেশনের সভাপতি প্রমাণ চেয়েছিলেন আমরা প্রমাণ দিলাম। তিনি ক্ষমা চাইবেন, এই দূরাশা আমাদের নেই। এর পরেও হয়তো স্বরূপ বিশ্বাস মিডিয়ার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আবির্ভূত হবেন। এটি চ্যালেঞ্জ-প্রতিচ্যালেঞ্জের বিষয় নয়। মানুষের জীবন এবং জীবিকার বিষয়। আশা করি এই বোধটুকু ফেডারেশনের থাকবে।’