বুধবার হঠাত্ বীরভূমের একটি দোকানে ঢুকে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনুনে বসানো ছিল কড়াই। তাতে হচ্ছিল আলু-বরবটির তরকারি। খুন্তি নিয়ে সেটাই নাড়তে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বোলপুরে মেগা রোড শো করেছেন মঙ্গলবার। বুধবারই তাঁর কলকাতা ফিরে আসার কথা। তার আগে আজ হঠাত্ করেই বোলপুর লাগোয়া বল্লভপুর গ্রামে আদিবাসী পাড়ায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে। ক্যানেল পাড় ধরে সোজা এগোলে সোনাঝুড়ির হাট ছাড়িয়ে বল্লভপুর গ্রাম। বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারের বাস সেখানে। বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী হঠাত্ই চলে আসেন এখানে। ঘরের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। হতদরিদ্র পরিবারগুলির বহু সদস্য তখন কাজের জন্য বেরিয়ে গেছেন ঘরে তালা দিয়ে। আশেপাশেই ছিলেন যাঁরা, ছুটে আসেন।
বাড়ির মহিলাদের ডেকে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সমস্ত পরিষেবা তাঁরা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না তাঁর খোঁজ নেন। গ্রামের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুযোগ করেন পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে গ্রামে। একটাই পুকুরে সব কাজ সারতে হয়। জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী তলব করলেন জেলাশাসককে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, আবাস যোজনায় অর্ধেক হয়ে তাঁদের ঘরের কাজ থমকে গিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানেরও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা জেলার ভোটারদের একটা বড় অংশ আদিবাসী। তাই বীরভূমে আদিবাসী ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। ভোটের মুখে জেলা সফরে এসে এই অঙ্ক বুঝেই এদিন তিনি আদিবাসী পাড়ায় গিয়েছিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।