হায়দরাবাদে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা, যার অনেকটাই মিল রয়েছে টেলিভিশন ড্রামা ব্রেকিং ব্যাড-এর সঙ্গে। একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী কেমিস্ট নাকি ম্যানুফ্যাকচার করছিলেন নিষিদ্ধ সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স, যার নাম মেফেড্রন। যে পরিমাণ ড্রাগ তিনি পাচার করছিলেন, তার দাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। ৬৩ লাখ টাকা।
এই নিষিদ্ধ ড্রাগ তৈরি করার অপরাধে পুলিশ হাতে-নাতে ধরে ওই ব্যক্তিকে। সেই মুহূর্তে হায়দরাবাদের অন্য এক ব্যক্তিকে নিজের ম্যানুফ্যাকচার করা ৩.১৫ কিলোগ্রাম মেফেড্রন পাচার করছিলেন ওই কেমিস্ট, যার দাম ৬৩.১২ লাখ টাকা।
ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, শহরের প্রান্তে অবস্থিত ওই ব্যক্তির ল্যাবে অভিযান চালানো হয়েছিল। এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১১২ গ্রাম মেফেড্রন এবং ১৫ থেকে ২০ কেজি মেফেড্রন তৈরি করার মতো কাঁচামাল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত বছর ১০০ কেজির থেকেও বেশি পরিমাণ মেফেড্রন তৈরি এবং বিক্রি করেছেন ওই ব্যক্তি।
কি এই মেফেড্রন? এটি আসলে একটি সিন্থেটিক স্টিম্যুল্যান্ট ড্রাগ, যা কলেজের শহুরে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এর কিছু পোশাকি নামও রয়েছে, যেমন ড্রোন কিংবা মিয়াও মিয়াও। নেশা করলে ফল মেলে কিন্তু কোকেইন অথবা এমডিএমএ-এর মতোই।
তবে শুধু হায়দরাবাদের ওই ব্যক্তিই নয়, তদন্তে জানা গিয়েছে যে এই মেফেড্রন তৈরির সঙ্গে মুম্বই-এর একটি চক্রও জড়িত।