ফের বড়সড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার সন্ধান পেল সিবিআই। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ১৩টি ব্যাঙ্ক থেকে মোট ১,৮০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল দিল্লির এক বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দিল্লির জয় পলিকেম ইন্ডিয়া লিমিটেড সংস্থার দফতর এবং সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সতিন্দর পাল মোধক ও এক ডিরেক্টর সন্দীপ সিং মোধকের বাসভবনে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
দিল্লির লাজপত নগরের জয় পলিকেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে গত ১ ডিসেম্বর সিবিআই-এর তরফে একটি এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ, শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য এবং কৃষিখাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানির ব্যবসায় যুক্ত এই সংস্থা ২০১৪ সালে এসবিআই-সহ ১৩টি ব্যাঙ্ক থেকে মোট ১,৬৫২ কোটি টাকা ঋণ নেয়, যা এখনও পর্যন্ত শোধ করা হয়নি।
ঋণ শোধ না হওয়ায় ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘নন-পারফর্মিং অ্যাসেট’ ঘোষিত হয়। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং সংস্থার দ্বারা তদন্তমূলক অডিটে ধরা পড়েছে, বেশ কিছু বেনামি লেনদেন ও প্রতারণার মাধ্যমে ওই টাকা অন্যত্র পাচার করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর হাতে আসা সিবিআই-এর এফআইআর জানাচ্ছে, জয় পলিকেম-এর সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু সংস্থার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই অথচ তাদের বিক্রেতা ও গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগের যথাযথ উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে।
সিবিআই-এর অভিযোগ, অভিযুক্ত সংস্থা একাধিক বিদেশি সংস্থার নামে ঋণপত্র জারি করেছে, যাদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। সংস্থার আয়কর রিটার্ন নথিতে বাণিজ্যসূত্রে প্রাপ্ত ৬৭৯ কোটি টাকা সন্দেহজনক দেনাদারদের নামে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওই সব দেনাদাররাও বাস্তবে অস্তিত্বহীন।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে ১৩টি ব্যাঙ্কের কাছে এই সংস্থার মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১,৮০০.৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য এসবিআই-এর, মোট ৪৭৪.৭২ কোটি টাকা। পাওনাদারের তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থা।