অপেক্ষার আর মাত্র কিছু ঘন্টা তার পরেই জমজমাট পরিস্থিতি হবে ধর্মতলায়। ৫ বছর পর ২১ জুলাই পড়েছে রবিবার। ইতিমধ্যেই সারা কলকাতা সেজে উঠেছে জোড়াফুল শিবিরের রঙে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। সেই জয়ের পরেই আবার উপনির্বাচনে জয়ের আনন্দে উপভোগ করেছে জোড়াফুল শিবির। উত্তরবঙ্গসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই কর্মীরা আসতে শুরু করেছে। একুশ জুলাই রাস্তায় কম থাকবে বাসের সংখ্যা। বাস কমে যাওয়ার চিত্র ফুটে উঠছে শনিবার অর্থাৎ ২০ জুলাইও। সাড়ে সাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪৭বি বেসরকারি বাস। ২১ জুলাই-এর আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের ক্যাম্পে পৌঁছনোর জন্য প্রচুর বেসরকারি বাস নেওয়া হয়েছে, ফলে রাস্তাঘাটে কমেছে বাসের সংখ্যা।
শনিবার অর্থাৎ ২০ জুলাই উত্তরবঙ্গ থেকে একটি ট্রেন এসে পৌঁছেছে কলকাতা স্টেশনে। দুপুরে ও রাতে আরও দুটি ট্রেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসবে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ থেকে আশা সেই তৃণমূল কর্মীদেড় ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই বেসরকারি বাস গুলি। বাসচালক ও সহকারীদের বক্তব্য, ইউনিয়ন থেকে বলা হয় পার্টির প্রোগ্রামে বাস দেওয়ার জন্য। তার বদলে পাওয়া যায় কিছু টাকা এবং খাবার। তবে তাঁদের কথায় স্পষ্ট পার্টির অনুষ্ঠানে বাস দিতেই হবে এটা যেন বাধ্যতামূলক। যেখানে শহরের রাস্তায় বেসরকারি বাসের জন্য সাধারণ মানুষকে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে, সেখানে শাসকদলের অনুষ্ঠানের জন্য ইউনিয়নের চাপে বাসগুলিকে বসিয়ে রাখা হয়েছে শাসকদলের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য। তা নিয়েও কিছু কিছু মহলে উঠছে প্রশ্ন।