মার্কিন নাগরিকদের যতদিন না উদ্ধার করা যায়, ততদিনই সেনা থাকবে আফগানিস্তানে। এমনটাই ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, আমেরিকার নাগরিকদের না ফেরানো পর্যন্ত কাবুল ছাড়বে না মার্কিন সেনা। প্রয়োজনে ৩১ অগস্ট অবধি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তার আগে পাঁচ বছর কট্টর তালিবানি শাসন জারি ছিল দেশে। মে মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাতে শুরু করে ন্যাটো। প্রাথমিক ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয় সাড়ে ৯ সেনা, তার মধ্যে আড়াই হাজারের মতো আমেরিকার সেনা ছিল। তারপরেই হেলমন্দ প্রদেশে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে লড়াই শুরু করে তালিবান।
৩১ অগস্ট অবধি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে, ঘোষণা বাইডেনের
মে মাসের ৮ তারিখে কাবুলে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮৫ জনের। বেশির ভাগই ছিল স্কুল পড়ুয়া। আফগান প্রশাসন জানায়, চলতি বছরে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই বিস্ফোরণের মাধ্যমেই আফগানিস্তান দখল করতে শুরু করে তালিবান। গত বছর থেকেই সেনা সরানোর চুক্তি হয় তালিবানের সঙ্গে। মার্কিন সেনার ২০টি ঘাঁটি ছিল সে দেশে। দোহায় তালিবানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি মোতাবেক শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই ৫টি ঘাঁটি থেকে সেনা ফেরাতে শুরু করে আমেরিকা। তার মধ্যে দক্ষিণের হেলমন্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গা এবং পশ্চিমে হেরাটের ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই তালিবানের দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে যায়। পাল্টা তালিবান দাবি করে, ৫০০০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। গত কয়েকদিনে আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ দখল করে জেলবন্দি জঙ্গিদের মুক্তি দিয়েছে তালিবান।