আসুন দেখি, শীতের বডি কেয়ারের পুরো শপিংটা আমরা ৫০০ টাকায় করে ফেলতে পারি কিনা!
পুরো বডি কেয়ারের বিষয়টাকে ভাগ করে ফেলি-
(১) অয়েল ম্যাসাজ
(২) বডি স্ক্রাব
(৩) বডি বাটার/ বডি লোশন
১ম ধাপ (অয়েল ম্যাসাজ)
অনেকেই শখ করে শীতের শুরুতে একটা হাজার টাকা দামের বডি অয়েল কেনেন। তারপরে ৩-৪ দিন মাখেন। ৫ নম্বর দিনে আর মাখা হয় না… তারপর? পরের বছর সেই বোতলের ধূলা ঝাড়েন এবং ভাবেন- এখনো কি ঠিক আছে তেলটা? এত দামি, টাকাগুলো নষ্ট… মেনে নিন, টাকা আপনিই নষ্ট করেছেন। যে কাজটার রেগুলারিটি মেনটেন করতে পারবেন না কেন তার পেছনে এত খরচ?
অয়েল ম্যাসাজ কেন জরুরী?
ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ানো
ত্বকের শীতে ফাটা দাগ দূর করা
গোসলের সময় যেন ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করা
ডেইলি ২ ঘণ্টা ধরে ম্যাসাজ করবেন চিন্তা করলে সে হ্যাবিট কখনই সম্ভব না ধরে রাখা। কি করবেন বলে দিচ্ছি। জাস্ট নিজের ন্যাচারাল হেয়ার অয়েল টা নেবেন ২ টেবিল স্পুন তেল পুরো গায়ে মেখে ফেলবেন। ১-২ মিনিটের বেশি লাগবে না। গোসলের আগে এটা করবেন। এতে পানিতে স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল ধুয়ে যাবে না। ত্বক ফাটবেও না। পুরো শীত চালিয়ে নিতে পারবেন। শীতের পড়ে চুলে মেখে ফেলবেন। টাকার অপচয় করবেন না।
আর হ্যা, সপ্তাহে ১-২ বার অয়েল ম্যাসাজ করলেই সেটা নরমাল স্কিনের জন্য যথেষ্ট।
খরচ কেমন পড়তে পারে? একটা ১০০ মিলি নারিকেল তেলের বোতল ৬০ টাকায় পাওয়া যায়।
২য় ধাপ (বডি স্ক্রাব)
অরগানিক, সুন্দর ঘ্রাণের লাক্সারিয়াস বডি স্ক্রাবের দাম ১৫০০ টাকা মিনিমাম। কিন্তু আপনার যদি রেগুলার বডি স্কাবিংএর হ্যাবিট না থাকে, তবে সেই, ফেলে রেখে নষ্ট করবেন! এবং বিলাস আর প্রয়োজনের মধ্যে তফাৎ করতে না পারলে টাকা জলে আপনিই ফেলবেন। জেনে নিই কেন করবেন বডি স্ক্রাব-
মৃত কোষ দূর করার জন্য
(শীত এলেই অনেকে ‘কালো হয়ে যাচ্ছি’ এমন কথা শুরু করেন। মোস্ট অফ দা টাইম তারা স্ক্রাবিং এর ধারে কাছেই থাকেন না, এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলে বডি স্ক্রাব আপনার জন্য প্রয়োজন, বিলাসিতা নয়)
স্কিনের গ্লো বজায় রাখার জন্য
ভিজিবল ডেড সেল, কথিত ভাষায় যাকে ‘মরা চামড়া’ ‘ফাটা চামড়া’ বলে তা কমানোর জন্য
বিঃ দ্রঃ
আপনার স্কিন শীত গ্রীষ্ম দুই সময়েই মরে, গ্রীষ্মে ঘামে তেলে একে আপনি দেখতে পান না বলে ময়লাগুলো পুষে রাখেন।
শীতে ঘাম থাকে না, তাই দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি করার একটা প্রকোপ শুরু হয়।
কি করবেন-
বাজারে গিয়ে নিচের জিনিস গুলো কিনুন-
একটা ৩০০ মিলি বডি লোশন, দেশের যেকোনো প্রান্তে পাবেন। দাম ২২০ টাকার মতন