শনিবার কোলাঘাটের সভা থেকে টেটে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগও করলেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ‘রাতের অন্ধকারে মোবাইলে মেসেজ করে টেটে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। কাটমানির বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন নেতানেত্রীর আত্মীয়স্বজন।’
একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের ১০ বছরের শাসনকালে সাড়ে ৫ লক্ষ স্থায়ী চাকরির শূন্যপদ অবলুপ্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন বাংলায় ২ কোটি বেকার তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু এদিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বামফ্রন্টের সময় যে শূন্যপদ ছিল তা বাড়ানো তো হলই না, উল্টে সাড়ে ৫ লক্ষ স্থায়ী চাকরির শূন্যপদ অবলুপ্ত করেছে এই সরকার। বদলে মিলেছে কয়েক হাজার চুক্তিভিত্তিক চাকরি। না আছে প্রভিডেন্ট ফান্ড, না আছে হেল্থ স্কিম। কর্মচারী হিসেবে তাঁরা স্বীকৃতিও পাননি। এদের বর্তমান বা ভবিষ্যত কিছুই নেই। এটাই কি বাংলার মানুষ চেয়েছিল?’শুভেন্দুর কথায়, ‘২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ২০ লক্ষ বেকার নথিভুক্ত ছিল আর আজ মাননীয়ার শাসনে ২ কোটি বেকার তৈরি হয়েছে বাংলায়। ২০১৪ সালের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হল না, শিক্ষক–শিক্ষিকা নিয়োগ হল না।’ এর পরই গুরুতর অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, ‘গত দু’দিন আগে রাতের অন্ধকারে ১৬ হাজার ৭০০ জনকে মোবাইলে মেসেজ করে টেটে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। কাটমানির বিনিময়ে নেতাদের আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া হয়েছে এই চাকরি।’
এদিন শুভেন্দুর বক্তৃতায় উঠে আসে সিঙ্গুরের কথাও। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘সিঙ্গুরে কৃষকরাও জমিতে চাষ করতে পারল না আর সেখানে কারখানাও তৈরি হল না। বেকার যুবকদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘রাজ্য সরাকর ফলাও করে ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছিল। ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছেলেমেয়ে তাতে নিজেদের নথিভুক্ত করেন, কিন্তু একজনও চাকরি পাননি। সাড়ে ৯ বছরের মধ্যে একটা ভারী শিল্প পশ্চিমবঙ্গে এল না। তাই আজ মানুষ ২০২১ সালে তৃণমূলকে সাফ করে বিজেপি–কে ক্ষমতায় আনার শপথ নিয়েছে।’