More
    Homeখবরঅদ্ভুত দুগ্ধদোহন প্রতিযোগিতা

    অদ্ভুত দুগ্ধদোহন প্রতিযোগিতা

    Today Kolkata:- অদ্ভুত দুগ্ধদোহন প্রতিযোগিতা। এফডিসিতে একবার দুগ্ধদোহন প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। তাতে অংশগ্রহণ করলেন নায়ক-নায়িকা, পরিচালক-প্রযোজক, ফাইটার-এক্সট্রা নির্বিশেষে সবাই। সবাইকে একটা করে গরু দেওয়া হলো। যে যত বেশি দুধ দোহন করতে পারবে, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং ‘অবিভক্ত এফডিসির সভাপতি’ বলে মেনে নেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ হলেন শাকিব খান। তিনি মঞ্চে উঠে প্রতিক্রিয়ায় বললেন— ‘কী আর বলব! আম। উম। আম। ইন ফ্যাক্ট, বলার কিছু নাই। সো, ভালোই লাগছে।

     

    আমি অ্যাকচুয়ালি দুধ জিনিশটা ভালো বুঝি না। সো, আমি দুধে ইউজ-টু না। সো চার লিটার। এনাফ। এন আফ! সো, আই অ্যাম হ্যাপি। থ্যাংকস গড। দিস মেডেল ফর মাই সান। সাকসেস। সো? সাকসেস। হুম। প্রাউড। ভেরি ভেরি সাকসেস। আম। টেইক কেয়ার।’ পঞ্চম হলেন মিশা সওদাগর। তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ্। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ্। আপনারা জানেন আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। আমার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। পাঁচ লিটার দুধ দুইয়ে আমি পঞ্চম হয়েছি। এতেও আমি খুশি। আল্লাহ্ আমাদেরকে যখন যা দেন, মুমিন হিশেবে তা নিয়েই খুশি হওয়া উচিত।’

    Karnataka Assembly Election “বিজেপিকে হারাও” – কালীঘাটে বৈঠকে এইচডি কুমারস্বামীকে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    চতুর্থ হলেন মালেক আফসারি। বললেন— ‘অ্যাঅ্যাঅ্যা? কী? হুম? হ্যাহ্ হ্যাহ্! হাঁ। হেহ্ হেহ্! দুধ দোয়াইছি সাড়ে ছয় লিটার। কম? হ্যাহ্ হ্যাহ্! কম না কিন্তু। এত-এত ইয়াং পোলাপাইনের মইধ্যে ফোর্থ হইছি। খারাপ করছি? খারাপ করি নাই কিন্তু। চাইর-পাঁচটা ইন্ডিয়ান সিনেমা দেইখা এইটা থেইকা এইটুক, ঐটা থেইকা ঐটুক খাবলা মাইরা নিয়া যেইভাবে সিনেমা বানাইছি যৌবনকালে; ঐভাবে পাঁচটা গরু থেইকা অন্তত পনরো লিটার মাল কিন্তু নামাইয়া ফেলাইতে পারতাম। পারতাম না? পারতাম। কিন্তু ফেলি নাই। হ্যাহ্ হ্যাহ্ হ্যাহ্! নাম আমার মালেক আফসারি। নামের ভিত্রেই কিন্তু মাল আছে। কীইই? হ। হুহ্হুউউউম!’

     

    তৃতীয় ওমর সানি। প্রতিক্রিয়ায় বললেন— ‘আস সালামু আলাইকুম! আস সালামু আলাইকুম। আমি আপনাদের ওমর সানি। আঁ। আপনাদের সবার ভালোবাসায় আজকে আমি এই ওমর সানি। আঁ। ওমর সানি অ্যান্ড আপনাদের প্রিয়দর্শিনী মৌসুমির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে আবারও আস সালামু আলাইকুম। অ্যাঁ? হুউউউম? অ্যাঁ? হুউউম? একজন মৌসুমি কিন্তু একদিনে তৈরি হয় না। যুগ-যুগ লাগে। আঁ। অ্যান্ড একজন ওমর সানিও আকাশ থেকে পড়ে না। আজকে আমি যে আট লিটার দুধ দুইলাম, কী এইটা? কোনো বেআদব পারবে এইটা?

     

    পারবে কোনো ইডিয়ট? হুউউম! পারবে না। আঁ। এইজন্য ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো হইতে হয়। অ্যান্ড এডুকেশন লাগে। অ্যাঁ? লাগে। লাগে। লাগে। যোগ্যতা। লাগে। স্কিল। লাগে। হুম। অ্যা। শোনো মিশা, একটা কথা বলি তোমাকে— না, থাক, বলব না। তুমি তো জানো কী বলব তোমাকে। দুধ জিনিশটা সাবধানে ডিল করবা তুমি। তুমি বোঝো সবই। তবুও বললাম। নীতিগতভাবে আমরা তো এক। তাই না? নিজেদের দুধ নিজেরা বাইরে না আনি। মানষে খারাপ বলবে। সরি। হুউম? থ্যাংক ইউউউউ! আঁ।’ দ্বিতীয় হলেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।

     

    মঞ্চে উঠে আশেপাশের তিন-চারজনের কানের নিচে চটকানা মেরে ডানহাত পেছনে নিয়ে বাঁ হাতে মাইক তুলে চোখমুখ খিঁচিয়ে বললেন— ‘কী? কী? কীইইই? কী হইতেছে এইখানে? কিসের কম্পিটিশন এইটা? কেমন গরু দেওয়া হইছে এইটা আমারে? আধামরা ল্যাংড়া গরু! চাইরশো সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখছি আমি। এক সিনেমার এক হলের টাকা দিয়া নারায়ণগঞ্জ শহরে ছয়তলা বাড়ি বানাইছি আমি। চেনো আমারে? খোমাটা চিন্না রাখো, মিয়ারা। এইটা নান্টু-মন্টু না। এইটা ঝন্টু। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। একটা হেলদি গরু দেওয়া যাইতো না আমারে? দিছো তো একটা দুই টাকার গরু। এই গরু এফডিসিতে কবে আসছে? চেনে আমারে?

     

    এর তো কানশা ফাটাইয়া দেওয়া দরকার। দোয়াইতে পারছি মাত্র এগারো লিটার। ফাইজলামি? আমি তো উকিল নোটিশ পাঠামু এই গরুরে। রিট করমু। ইয়ার্কি? আমি ঝন্টু। আমি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। ইতরামি? তামশা? ঢাকা শহরে কবে আইছো?’ ‘নিখিল এফডিসি দুগ্ধদোহন প্রতিযোগিতা’য় চ্যাম্পিয়ন হলেন জায়েদ পাঠান। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মঞ্চে উঠে মঞ্চে চুমু খেয়ে হাত বুকে ছুঁইয়ে (নিজের বুকে) পাঠানটা বললেন— ‘আমি শুরুতেই সকৃতজ্ঞ চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আয়োজকদেরকে। স্মরণ করছি প্রয়াত চিত্রনায়ক জসিম ভাই, বুলবুল ভাই, নায়করাজ রাজ্জাক ভাইকে; যাদের আশীর্বাদে আজকে আমি জনপ্রিয় চিত্রনায়ক।

     

    সামনে উপবিষ্ট আমাদের অভিভাবক প্রিয় চিত্রনায়ক ফারুক ভাই, সোহেল রানা ভাই, ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, অঞ্জনা আপা, নূতন আপা, রোজিনা আপা, সুহাসিনী সুভাষিণী আরিফা পারভিন মৌসুমি আপু। আপনারা না থাকলে আজকে আমি লিজেন্ড হতে পারতাম না। আপনারাই বলেন, পারতাম? না, পারতাম না। আমার বন্ধু নিপুণ আক্তার আছে এখানে। আমাদের মতবিরোধ আছে অনেক, অস্বীকার করব না।
    কিন্তু নীতিগতভাবে আমরা? এক, এক, এক। আমরা সবাই কী? শিল্পী, শিল্পী, শিল্পী। আমরা এক থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্নেহ করবেন। ওনার স্নেহ পেলে? আমাদের শিল্পীসমিতি বদলে যাবে। তো, আজকে আমি দুধদোহনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।

     

    আশা করি, আমার বন্ধু নিপুণ আক্তার এই ফলাফল মেনে নেবে, দুধ নিয়ে কোর্টকাচারি করার মতো মেয়ে সে না— এইটা আমি অন্তর থেকে বিশ্বাস করি। এই কথা সবারই মাইন্না নেতে হবে। যা হোক, আমি হাফ লিটার দুধ দুইয়া ফার্স্ট হইছি। তালি? হবে না একটা তালি? হাফ লিটার দুধ দুইয়া ফার্স্ট হইছি কীভাবে? সবাইরে দেওয়া হইছে গাভী। আমারে দেওয়া হইছে একটা বলদা ষাঁড়। বলদা ষাঁড় টিপ্পা সবার দোয়ায় আমি হাফ লিটার বাইর করছি। আরো দোয়া রাখবেন সবাই। উৎসাহ পাইলে আরো বাইর করব।’ অদ্ভুত দুগ্ধদোহন

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments