অবশেষে প্রায় এক মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটল। পূর্ব কথা অনুযায়ী, শেষপর্যন্ত স্পিকারের দেখা পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। উল্লেখ্য, বাবুল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন তাঁর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়া কথা। পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন যে, নির্দিষ্টভাবে একটাই দল এবং একটা বিশ্বাসেই তিনি বিশ্বাসী। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ হারিয়ে, রাজনীতি থেকে বাবুলের সন্ন্যাস নেওয়ার সেই ঘোষণা বাস্তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিজেপি ছেড়ে তিনি সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
অপেক্ষার অবসান! সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়
Read more-উত্তপ্ত উপত্যকা! কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মোদি-শাহ
এদিকে এখনও পর্যন্ত ঘোষণা না হলেও, তাঁকে দলের পক্ষ থেকে বড় দায়িত্বই দেওয়া হবে, সেটা স্পষ্ট। এমনকি এই কথা বাবুল নিজেও পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিজেপি ছেড়ে তিনি ওই দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে থাকবেন না। তাই লোকসভার স্পিকার অম বিড়লার কাছে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। তা পেলেই, তিনি ইস্তইফা দেবেন সাংসদ পদ থেকে, এমনটাই জানিয়েছিলেন।
Read More-সুরার ইতিহাস থেকে প্রাচীন সুরাপাত্র, দেশের প্রথম ‘অ্যালকোহল মিউজিয়াম’ চালু হল গোয়াতে
অবশেষে সেই সময় এল। দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল যে, মঙ্গলবার অর্থাত্ ১৯ অক্টোবর বাবুলকে সময় দিয়েছেন স্পিকার। ওই দিনই দিল্লি গিয়ে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলার দিকে বাবুল সুপ্রিয় লোকসভার স্পিকার অম বিড়লার বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। জানা গিয়েছে বাবুলের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন স্পিকারও।
এদিন লোকসভার স্পিকারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘আমি আর এখন বিজেপির কেউ নই। তাই সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখার অর্থ নেই। আমি পদত্যাগ করলাম।’ এই ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, আবার কি তবে আসানসোল থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন গায়ক? এই জল্পনা আরও জোরদার হচ্ছে।