অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে এজলাসে দাঁড়িয়ে ক্ষমতা চাইলেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে আগেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই কথা মেনেই অবশেষে আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্য আদালত থেকে বেিরয়ে জানিয়েছেন পুরো বিষয়টির নিস্পত্তি হয়ে গিয়েেছ। আদালত অবমাননার দায় থেকে এবার মুক্ত আমি। বাকি বিষয়নি তিনি কিছু বলতে চাননি।
অবশেষে আদালতে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন পর্ষদ সভাপতি, নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
Read More-ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিপ্লব দেবের পুলিশ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে কয়েক হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা করেছিল। আজ বিচারপতি অভিিজত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এসে মানিক ভট্টাচার্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারপরেই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন ‘আপনাকে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য নেই আদালতের। কিন্তু আপনি আদালতের নির্দেশ মানেননি। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’
Read More-পুজোর আগে সুখবর! আগামী বুধবার থেকে ফের বাড়ছে মেট্রো
তারপরেই হাইকোর্ট প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাকারিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হয়ে সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুরাত জেগে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। আদালতের বক্তব্য,তিন বছর আগেই এই কাজ করা উচিত ছিল। নিয়োগ নিয়ে বহু আদালত অবমাননার মামলা রয়েছে। দ্রুত সেই গুলো সমাধান করুন।
Read More-ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল
বিচারপতি সভাপতিকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘কোনও ইগো না রেখে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করুন। আপনি সভাপতি। ফাদার ফিগার। আপনার অনেক টাকা। এইসব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আপনাদের সঙ্গে মামলা লড়ার অত টাকা নেই। তাই এদের জন্য ব্যাবস্থা করুন।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় একটি মামলার শুনানিতে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মেনে নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তারপরেই আদালত অবমাননার দায়ে পড়েন পর্ষদ সভাপতি। নতুন মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই মতো তিনি উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাইলেন। তারপরেই আদালত অবমাননার মামলা থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এদিন আবার আদালত তাঁকে বলেছে, ‘যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করুন। এখন সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যে শূন্য পদগুলি তৈরি হবে, সেখানে নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। এই চাকরিপ্রার্থীরা কত দিন আর লড়াই করবেন।’