সকাল থেকে বুথে বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। সেই সঙ্গে নানা প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে অশান্তির খবরও। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও ছাপ্পা, কোথাও আবার ভোট লুঠের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির রয়েছে শাসকদলের দিকে।
অবাধ ছাপ্পা, এজেন্টদের মারধর, অভিযোগের পাহাড় নিয়ে কমিশনে বিজেপি
Read More-কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দু’টি রাজনৈতিক খুন, চরম উত্তেজনা কেরলের আলাপ্পুঝায়
এদিন সকাল থেকে তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক অভিযোগ এনেছে বিজেপি। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুরলীধর বালিকা বিদ্যালয়ে তাদের এজেন্টকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এজেন্টকে বসতেই দেওয়া হয়নি। বিজেপির আরও অভিযোগ, ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিসিটিভি ভোটের শুরু থেকেই কাজ করছে না। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর বুথ থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। অভিযোগ, সেখানে ইভিএম মেশিনে পদ্ম চিহ্নের পাশে মোটা কালো দাগ এঁকে দেওয়া হয়েছে। ইভিএম মেশিনের প্রথম বাটনটাই বিজেপির। সেখানে যাতে ভোট না দেওয়া হয় সেই কারণেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে রামগড় মুকুল বোস স্কুলে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় দাসকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
পদ্ম শিবিরের দাবি, সেখানে গোটা বুথ দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। চার-পাঁচ জন মিলে ধাক্কা মেরে সঞ্জয়বাবুকে বুথ থেকে বের করে দিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও অচল বলে দাবি। বিজেপির অভিযোগ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছে অবাধে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি বুথেই সকাল থেকে ভুয়ো ভোট চলছে বলে অভিযোগ। ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ থেকে বিজেপি এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রতিবাদ জানাতে গেলে মারধর করা হয়েছে বিজেপি এজেন্ট রঘুবীর সিংকে। সার্বিক অভিযোগ নিয়ে বেলা ১২টা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের অফিসে হাজির হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল।