Today Kolkata:- অস্কার জিতল নাটু নাটুর সঙ্গে এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স। নাটু নাটু নাচটি দেখার সৌভাগ্য হল। রামচরন আর আর আর আর এর অস্কার পাওয়া নাচ। সত্যি বলতে গেলে অস্কার পাওয়ার মত এই নাচে যে পাওয়ার বা শক্তির বিস্ফোরণ দেখলাম তা এক কথায় অতুলনীয়। দক্ষিণ আজ ভারতের মুভির স্বর্গোদ্যান। এখান অসম্ভব পরীক্ষা নীরিক্ষা হয় সিনেমা নিয়ে। যা আর কোথাও হয় না। এমনকি হলিউড এত দ্রুত এতটা নতুনত্বের উদ্ভাবন করতে পারে না। দক্ষিণ ভারত বলিউডকে রিমেক সরবরাহ করে। দক্ষিণের হিন্দি রিমেক দিয়েই বলিউড বেঁচেবর্তে আছে। সেই দক্ষিনি ফিল্ম ‘আর আর আর’ দুটি অস্কার তাও একটি মাত্র গানে পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
নাচে কি প্রচন্ড কষ্ট করত হয়, শক্তিক্ষয় করতে হয় নাটু নাটু না দেখলে বোঝা যাবেনা। বিল্লি মুস্তাফা এবং জোসন গ্রোভার নামেই গানটি পরিচিত লাভ করেছে। আর এই গানের কোরিওগ্রাফার হলেন প্রেম রক্ষিত। যিনি হাদারাবাদের মানুষ। তিনিই অস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বশরীরে হাজির ছিলেন। অভিনেতা হিসাবে যারা নাচটি করেছেন তারা হলেন রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআর। ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে, আরআরআর -এর গান “নাটু নাটু” সেরা মৌলিক গানের অস্কার পেয়েছে। রাহুল সিপলিগঞ্জ এবং কালা ভৈরব গানটির জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন, যেটি এম এম কিরাভানি দ্বারা রচিত হয়েছিল এবং চন্দ্রবোসের শব্দ ও সঙ্গীতে মার্চ ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
এবং গুনীত মঙ্গা এবং কার্তিকি গনসালভেসের ফিল্ম দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পার অস্কারে ইতিহাস তৈরি করেছে কারণ এটি সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট অস্কার জিতে প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে। সত্যজিৎ রায়ের পর বাঙালির কপালে বিশেষ অস্কার জুটেছে কী? হাঁ জুটল।সত্যজিৎ রায়ের পর আবারও যে বাংলায় অস্কার এল তা এল একটি মেয়ের হাত ধরে। এর চেয়ে আর আনন্দ কি হতে পারে। তাই আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না বাংলার দর্শক। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ -এ সেরার শিরোপা পেয়ে বাংলাকে অস্কার তুলে দিয়েছে সঞ্চারী দাস মল্লিক। অস্কার জিতল