Today Kolkata:- অ্যাডেনো ভাইরাসের আতঙ্ক রাজ্যজুড়ে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ২৫ জনেরও বেশি শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তাই মঙ্গলবার নবান্নে জরুরী বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে এ নিয়ে নয়া গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সতর্ক রাজ্যসরকার।
একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হল। রাজ্যস্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, সব সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা ‘এআরআই’ ক্লিনিক থাকবে। ।সরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা ক্লিনিক থাকবে। মেডিক্যাল কলেজে আউটডোরের বাইরেও আলাদাভাবে খোলা হবে ক্লিনিক।যাতে রোগীর কোনও সমস্যায় না হয়।জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থাকবেন।তাদের যত্নে রাখতে হবে।
কোভিডের জন্য বরাদ্দ ওয়ার্ডে ভর্তি করা যাবে মা-শিশুকে।২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইনও খোলা হবে। এমনকী কোভিডের সময় ব্যবহৃত ভেন্টিলেটর প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে শিশুদের জন্যও।ভিড় থেকে শিশুকে দূরে রাখার পাশাপাশি শিশুদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। হাসপাতালের সুপারের অনুমতি ছাড়া জেলা থেকে রেফার নয়- বলে নির্দেশিকায় স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৫টি হাসপাতালকে শিশু-চিকিৎসার হাব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ২৫টি বেড চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টা পর্যন্ত করা হতে পারে।
বৈঠকের পর আরও জানা গিয়েছে, করোনা সতর্কীকরণের মতোই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের। আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর সতর্কীকরণের কথা ভাববে সরকার। এরই মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি সতর্কতা অবলম্বন করতে কি বিদ্যালয়গুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হবে? বৈঠকের পর যদিও জানা যাচ্ছে, এখনই শিশুদের স্কুল বন্ধের কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না।অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটের জেরে তাহলে কী কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে?
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় ঘোরা ফেরা, বিনোদন পার্কে ভিড় জমানো, সিনেমা হল ও শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতার কথা বলা হতে পারে। কিন্তু মুখে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ আগেই দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের।গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে হাসপাতালগুলির কাছে একটি গাইডলাইন পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে যে সব বাচ্চা হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে, তাদের একবার করোনা টেস্ট করতে হবে। আক্রান্ত শিশু ও পরিবারকে মেনে চলতে হবে কোভিডবিধি। এদিন সেই গাইডলাইনে আরও কিছু বদল ঘটানো হবে বলেই খবর। অ্যাডিনো