সোমবার আকাশপথে ঝাড়গ্রাম গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে উঠে উদয়নারায়ণপুর হয়ে ঝাড়গ্রাম পৌঁছন মমতা। আকাশপথেই উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। আগামিকাল বন্যা প্লাবিত ঘাটাল যাবেন তিনি। গত সপ্তাহে সড়কপথেই আমতার প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আমতা-উদয়নারায়ণপুরের রাস্তা অত্যাধিক জল জমে থাকায় সেই পথে যেতে পারেনি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। তাই আজ ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পথে উদয়নারায়ণপুর পরিদর্শন করেন তিনি। হাওড়া-হুগলীর একাধিক ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন তিনি। আমতায় দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়।
আকাশপথেই উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর, আগামিকাল যাবেন ঘাটাল
Read More- ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাচে মেতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
এদিকে, ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুল হলে শুধরে নেব, আপনারা কেউ ভুল বুঝবেন না।’ তাঁর মন্তব্য, ‘জেলায় ৯৫ শতাংশ মানুষ সরকারি একাধিক পরিষেবা পেয়েছেন। ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে, ৩ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বেশিরভাগই সেই পরিষেবা পেয়েছেন। ঝাড়গ্রামে চারটি নতুন কলেজ তৈরি হচ্ছে। সাধুরাম চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। এই আইন তৈরি করেছে সরকার। সারা দেশেও এই আইন প্রণয়ন করা হোক।’
তাঁর দাবি, ‘আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করেছি। অলচিকি হরফে পড়ানোর জন্য ৫০০টি স্কুল তৈরি হচ্ছে। লালগড় কলেজে সাঁওতালি ভাষায় পাস ও অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। মাওবাদী হানায় মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিয়েছি। দুয়ারে সরকার আমরা বছরে দু’বার করব। দু-এক মাসেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধে মিলবে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে। করোনা এখনও যায়নি, বাইরে বেরোলেই মাস্ক ব্যবহার করুন।