পুজোর জন্য করোনার বিধিনিষেধে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ প্রত্যাহার করা হয়েছিল নাইট কারফিউ৷ সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামিকাল ২০ অক্টোবর সেই ছাড়ের সময়সীমা শেষ হচ্ছে৷ আগামিকাল রাত থেকেই ফের কড়া হাতে নাইট কারফিউয়ের বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷
পুজোর জন্য বেশ কিছু ছাড় দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন৷ প্রথমত, রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়৷ তাছাড়াও রেস্তোরাঁ, পানশালা সহ অন্যান্য দোকান বেশি রাত পর্যন্ত খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়৷
কিন্তু পুজোর সময় বিধিনিষেধে ছাড় দিলে এবং মানুষ স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বাইরে বেরোলে যে সংক্রমণের হার বাড়তে পারে, আগেই সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে পুজোর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়ে গিয়েছে৷
রাজ্য প্রশাসন অবশ্য মনে করছে, এখনও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি৷ মুখ্যসচিবও এ দিন পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের সেই বার্তাই দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে অবশ্য টিকাকরণের হার বাড়ানোর জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ বিশেষত কলকাতায় আক্রান্ত সংখ্যা কমানোর উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব৷
প্রতিটি জেলাতেই টিকাকরণ বাড়াতে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সবরকম পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ তাছাড়াও যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণের হার বেশি, সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সংক্রমণে রাশ টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের৷
আজ থেকেই পুরসভার প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুরোদমে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ চিকিৎসকদের অবশ্য আশঙ্কা, পুজোর ছুটির রেশ কাটিয়ে পরীক্ষাগারগুলিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও আরও বাড়বে৷