শীতলকুচির ঘটনার পর বেকায়দায় পড়ে গেল নির্বাচন কমিশন। কারণ তাঁদেরই দায়িত্ব ছিল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার। কিন্তু সেটা তাঁরা পারেননি। উলটে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বলে নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে৷ রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শীতকুচির জোড়াপাটকির ওই গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোচবিহারে ঢুকতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক নেতাই৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিল হচ্ছে বলেই ধরে নেওয়া যায়৷
উল্লেখ্য, শনিবার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের।জানা গিয়েছে, দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রবিবার থেকেই বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা নিহত এবং আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ওই এলাকায় যেতে পারেন৷ যার ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে৷ তার উপর নিহতদের শেষকৃত্যও এখনও সম্পন্ন হয়নি৷ আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামী ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহারে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি–সহ জেলা প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ মুখ্যসচিব এবং ডিজি-কে ওই এলাকায় যেতেও বলেছে নির্বাচন কমিশন৷ কোচবিহার জেলার পরিস্থিতি কী রকম থাকে, সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় নিয়মিত ভাবে অবহিত করবেন দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েক৷