More
    Homeজাতীয়আজ থেকেই দেশব্যাপী শুরু করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি

    আজ থেকেই দেশব্যাপী শুরু করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি

    আর কিছুক্ষণ পর থেকেই দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযানের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় সূচন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গোটা কর্মসূচির ওপর নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি নজরদারিও চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত টিকাকরণের পর কয়েকজনের সঙ্গেও কথাও বলতে পারেন তিনি।

    গোটা দেশের মোট ৩০০৬ কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ১০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৩ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করে হবে। এঁরা প্রত্যেকেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মী।

    ভ্যাকসিন নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশবাসীকে আস্বস্ত করেছেন তিনি। প্রধাননমন্ত্রী জানান, ‘দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। ভ্যাকসিনে যাবতীয় সতর্কতা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যে ২টি ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দু’টিই ভারতে তৈরি। ভবিষ্যতে আরও ভ্যাকসিন এলে নতুন করে পরিকল্পনা করা হবে।’ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেন, ‘টিকাকরণের তথ্য সঠিক ভাবে আপলোড করতে হবে।’ এক্ষেত্রে ভারত যা করছে আগামিদিনে অনেক দেশ তা অনুসরণ করবে বলেও মনে করেন মোদী।

    চলতি বছরের শুরুতে দুটি করোনা প্রতিষধক ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষ কমিটি। সেই মতো গোটা দেশে বণ্টন করা হয় ভ্যাকসিন। দিন কয়েক আগেই বাংলাতেও প্রায় সাত লক্ষ করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়।

    আজ সকাল ৯টায় পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের কাজ। রাজ্যে মোট ২১২টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি। প্রতি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ধারাবাহিক ভাবে চলবে অভিযান। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপপাশি, তৈরি পুরসভার বরো অফিসগুলিও। পুরসভার কোল্ডচেন পয়েন্টে রাখা হয়েছে করোনার টিকা।

    ভ্যাকসিন নিতে গেলে আগে কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। যিনি নেবেন তাঁকে অবশ্যই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। দুটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার ১৪ দিন পর থেকে রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হবে।

    তবে অ্যালার্জি বা ওই ধরনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে ভ্যাকসিন। অস্ত্রোপচার বা অন্য কোনও ধরনের থেরাপি থাকলেও নিতে হবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা বা যে সমস্ত মহিলারা সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ান তাঁরাও নিতে পারবেন না টিকা।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments