আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী, শতাব্দী-সহ একাধিক ট্রেনে ফের মিলবে খাবার। করোনা পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্যান্ট্রি কার পরিষেবা। একমাত্র দেওয়া হচ্ছিল ‘রেডি টু ইট’ মিল। সেখানে ছিল নুডলস, পোহা-সহ বেশ কিছু বাছাই করা খাবার। প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ফের চালু করার জন্য রেলের কাছে গত বছরই অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি। তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে রেল বোর্ড।
আজ থেকে রাজধানী, শতাব্দী-সহ একাধিক ট্রেনে ফের মিলবে রান্না করা খাবার
Read More-Weather: মাঘের শুরুতেই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে রাজ্যবাসী, সপ্তাহান্তে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস
এই বিষয়ে গত নভেম্বর মাসে একদফা ক্যাটারিং পলিসি নিয়ে বৈঠক হয়েছিল।আই আর সি টি সি’র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র জানিয়েছেন, ”ফের এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাওয়ায় দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হল। আবার তাঁরা তৈরি করা খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন। আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি সর্বত্র। আমাদের যে সব কিচেন আছে সেগুলির পরিকাঠামো দেখা হচ্ছে। রান্না করা খাবার আবার দেওয়া শুরু।”
করোনা পরিস্থিতিতিতে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশজুড়ে । সংক্রমণের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তার পর থেকে রেলে শুকনো খাবার মিললেও তৈরি খাবার পাওয়ার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। তবে কিছুদিন আগে ই-ক্যাটারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফলে অর্ডার দিয়ে মিলছিল নানা স্বাদের খাবার। দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন শুরুর পর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয় রেল।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম কয়েক মাস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে সেই সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকলেও রান্না হত না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইআরসিটিসি বিভিন্ন স্টেশনে শুকনো খাবার দেওয়ার পরিষেবা চালু করেছিল ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে। অর্থাত্, যাত্রীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট কেটারিং সংস্থা সেই যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন। এবার থেকে ই-ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে রেলের পুরনো প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও পেয়ে যাবেন যাত্রীরা।