দু’দিনের সফরে আজ,সোমবার বাংলায় আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘২০২২ সালের উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। ২৮ মার্চ আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকবেন। এই প্রথম শান্তিনিকেতনের মাটিতে পা দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।’’
জানা গিয়েছে,সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। মূলত তাঁর উদ্যোগেই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ঘুরে দেখতে পারেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান ঠাকুরবাড়ি। এর পর কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।ওই দিন রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি।
পর দিন ২৮ মার্চ সকালে তাঁর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দ্রৌপদীর সম্ভাব্য গন্তব্য বীরভূমের শান্তিনিকেতন।মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করবে। এরপর বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখবেন রাষ্ট্রপতি। দুপুরে আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে ইতিমধ্য়েই নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতা ও বীরভূমের বোলপুর। রাস্তায় রাস্তায় চলছে নাকা তল্লাশি। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই তল্লাশি করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা বজায় রাখতে তিনদিন আগে থেকেই মাঠ সংলগ্ন বাসিন্দাদের ছাদে ওঠা ও কাপড় শুকোতে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শান্তিনিকেতনের রাস্তায় রাস্তায় রীতিমতো মাইকিং করে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই না, শনিবার থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও। বাংলায়