গত রবিবার কলকাতায় এসে তেজস্বী সাফ জানান, রাজ্যে তিনি প্রার্থী দেবেন, তবে জোটের মাধ্যমেই। আর বিজেপিকে হারাতে যে কোনও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে প্রস্তুত তিনি। আগামী দু’দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আরজেডি নেতা।
অর্থাত্ তাঁর বয়ানে স্পষ্ট তৃণমূলের দরজা বন্ধ থাকলেই সংযুক্ত মোর্চার কাছে যাবেন আরজেডি নেতা। তবে মাত্র চারটি আসনের জন্য বারবার তিনি আবেদন জানাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। তাই আজ শেষবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তেজস্বী। এদিন বিকেল ৪ টে নাগাদ নবান্নে তেজস্বী-মমতা বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই চূড়ান্ত ফয়াসলা হয়ে যাবে। তৃণমূলের সঙ্গ না পেলে তেজস্বীর গন্তব্য হবে সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। কারণ আরজেডির জন্য ইতিমধ্যেই তিনটি হিন্দিভাষী এলাকায় আসন ছেড়েছে সিপিএম।বিকেলে নবান্নে তেজস্বীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত সারবেন মমতা। আবার অপর এক পক্ষের দাবি হয়ত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় হিন্দিভাষী ভোট টানতে তেজস্বীকে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তালিকায় থাকতে পারে আসানসোল ও দুর্গাপুর এলাকায়। তবে সবটাই জল্পনা কিন্তু দিল্লির কথা মাথায় রেখেই হয়ত মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বারবার বৈঠক করতের ইচ্ছুক। যদিও এর আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক ব্যানার্জীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন কিন্তু কোনও ফল পায়নি তেজস্বীর দল। এখন এটাই দেখার আজকের বৈঠকে কি ফল বের হয়।