বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে বাদ রেখেই এগোতে চান। তাই তিনি বাণিজ্যনগরীতে দাঁড়িয়ে বলেথিলেন, ইউপিএ’র কোনও অস্তিত্ব নেই। সেখানে তখন বিশেষ মুখ খুলতে না পারলেও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা পরে দিয়েছিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার। এবার শিবসেনাও তাঁদের মুখপত্র সামনায় লিখেছে, ইউপিএ’ সমান্তরাল জোট গড়লে বিজেপির হাত শক্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কুপ্রিমোর পাশে দাঁড়ালেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে পারেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অখিলেশের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
‘আমি মমতাকে স্বাগত জানাবো’: অখিলেশ যাদব
Read More-পুরসভা নির্বাচনেও প্রচারে নামবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছে পরপর দুটি সভা
যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ২০২২ সালে নির্বাচন। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই অখিলেশ বার্তা দিলেন, মমতাকে স্বাগত জানাতে তিনি তৈরি তিনি এবং কংগ্রেসকে কোনও আসন ছাড়বেন না। ঠিক কী বলেছেন অখিলেশ? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, ‘আমি মমতাকে স্বাগত জানাবো। তিনি যেভাবে বাংলা থেকে বিজেপিকে মুছে দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষও সেভাবেই বিজেপিকে সরিয়ে দেবে।’
এখন উত্তরপ্রদেশে পড়ে থেকে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু সেখানে কংগ্রেসকে কোন আসন না ছেড়ে একক লড়াইয়ে যেতে চাইছে অখিলেশ যাদব। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে সেখানে স্বাগত জানাবার কথা বলে তিনি কংগ্রেসকে সাইড করতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অখিলেশের দাবি, ‘উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেস কোনও বড় ভূমিকা নিতে পারবে না। কংগ্রেস একটি আসনও পাবে না। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের হাত ধরেই সমাজবাদী পার্টি নির্বাচনে লড়েছিল, তবে সেই অভিজ্ঞতা ভালো নয়। উত্তরপ্রদেশের মানুষ কংগ্রেসকে ত্যাগ করেছে।’
Read more-শ্যুট চলাকালীন মত্ত বাইক চালকের ধাক্কায় গুরতর আহত টলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা, ভর্তি হাসপাতালে
তাহলে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন একক লড়বেন অখিলেশ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে কংগ্রেস কোনও প্রতিযোগিতাতেই নেই। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁরা এখানে রয়েছেন। নির্বাচনের কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এটা উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষের নির্বাচন। যাঁরা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। বিকল্প হিসেবে মানুষের সামনে শুধু সমাজবাদী পার্টিই রয়েছে। কংগ্রেসকে স্পষ্ট করে বলতে হবে আদৌ তারা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় কিনা। যাবতীয় নীতি ও প্রকল্প দেখে মনে হয়েছে, বিজেপি–কংগ্রেসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’