দেশের স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর এই প্রথমবার বক্সা পাহাড়ে চালু পালকি আ্যম্বুলেন্স পরিষেবা। মূলত বক্সা পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় গর্ভবতী মা ও অসুস্থ রোগীদের জন্য এই অভিনব পরিষেবা চালু হল। বুধবার থেকেই পরিষেবা শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের প্রত্যন্ত দুর্গম বক্সা পাহাড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এই প্রথমবার বক্সা পাহাড়ে চালু পালকি আ্যম্বুলেন্স পরিষেবা
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৬০০ ফুট উপরে অবস্থিত প্রত্যন্ত বক্সা পাহাড়ের এই গ্রামগুলিতে কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভবতী মায়েদের কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কার্যত কাঁধে করেই নামিয়ে আনতে হতো এতদিন। মূলত বাঁশের মাঁচায় নিয়ে আসতে তাঁদের। এর থেকেই পালকি অ্যাম্বুলেন্সের ভাবনা আসে। অবশেষে আলিপুরদুয়ার জেলা স্ব্যাস্থ দফতর ও ফ্যামিলি প্লানিং অফ ইণ্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে পালকি আম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হল। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনব পালকি আ্যম্বুলেন্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। উপস্থিত ছিলেন বিডিও প্রশান্ত বর্মণ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গীরিশচন্দ্র বেরা।
কী এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্স?
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে পালকির কাঠামো। তবে মজবুতির জন্য তাতে অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। যা চারজন পালকি বাহক বা ভলান্টিয়ার বহণ করবেন। পালকি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর প্রাথমিক চিকিত্সার যাবতীয় সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একেকটি পালকি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত ভলান্টেয়ার। প্রথম ধাপে বক্সা পাহাড়ে এমন পালকি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হল। এরপর ধাপে ধাপে ল্যাপচাখা, তাসিগাঁও এলাকাতেও পালকি অ্যাম্বুলেন্স চালু হবে। আর এই ধরণের পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি দুর্গম বক্সা পাহাড়ের অধিবাসীরা।