আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কলকাতায় গরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, সামনের কয়েকদিন তাপপ্রবাহও সহ্য করতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া রয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ফলে নগরবাসীর অবস্থা যা দাড়িয়েছে তা খুবই করুণ।
কলকাতা সহ শহরতলী অঞ্চলের বাসিন্দারা, যেখানে CESC পরিষেবা প্রদান করে, তারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চলমান দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এটি উচ্চ বাড়ীর বাসিন্দা থেকে শুরু করে বস্তিবাসী সকলকেই প্রভাবিত করছে। তবে, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি CESC অস্বীকার করছে, তাদের মতে এটা ফিউজিং। তারা দাবি করছে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ রয়েছে তাদের কাছে।
কিন্তু কিছু গ্রাহক নিয়মের বাইরে গিয়ে, না জানিয়েই এসি ব্যবহার করছেন, যার কারনে ব্যবহৃত হচ্ছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ। ওভারলোডিং এর জন্য যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এই ব্যবস্থাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে, আর সেখান থেকেই যত বিপত্তি। CESC এর এগ্জ়িগিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বক্তব্য অনুযায়ী মার্চ থেকে মে অবধি ৪৫ হাজারের মতন এসি লাগানোর আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু এই সময়ে প্রায় দেড় লক্ষের উপর এসি বিক্রি হয়েছে।
তবে গ্রাহকরা তাদের দিকে ওঠা এসমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন টাকাতো সময় সময় দেয়া হচ্ছে! তাহলে কেনো মেনে নেবো এই ভোগান্তি? আবার কেউ বলছেন যারা নিয়মের উলঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেনো নেওয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা? তাদের দাবি CESC একচেটিয়া ব্যবসা যত সমস্যার মূল।