মাদক পাচারচক্রে নাম জড়াল খোদ পুলিশেরই। দুই কনস্টেবলের হাত দিয়ে মাদক পাচার হয়ে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে, এমন খবর সামনে এসেছে। বনগাঁর বাসিন্দা ওই দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতদের কাছ থেকে এক কিলোগ্রামেরও বেশি মাদক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ নম্বর ব্যাটেলিয়নের দুই কনস্টেবল পলাশ বিশ্বাস ও সুব্রত বিশ্বাসকে মাদক সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনেরই বাড়ি বনগাঁয়। অভিযোগ, এতদিন লুকিয়ে চুরিয়ে মাদক পাচার করতেন এই দুই কনস্টেবল। ভিন রাজ্যের মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের। মাদক পাচারে পুলিশি যোগ রয়েছে, এমন খবর আগেই মিলেছিল। তক্কে তক্কেই ছিলেন তদন্তকারীরা। খবর এসেছিল, ওই দুই কনস্টেবলের সঙ্গে ভিন রাজ্যের এক মাদক পাচারকারীর যোগাযোগ রয়েছে। সেই পাচারকারীর হাত দিয়েই মাদক চলে যায় অন্য রাজ্যে। ঠিক কোথায় এমন লেনদেন চলে তার খবর রেখেছিল পুলিশ। বাবুঘাট এলাকা থেকে এক কিলোগ্রামেরও বেশি মাদক সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে তিন পাচারকারী। ধৃতদের মধ্যে একজন ছিল ওড়িশার বাসিন্দা। ওই যুবকেরই মাদক পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল ওড়িশায়।ধৃত তিনজনকে জেরা করতে গিয়েই চমকে যান তদন্তকারীরা। দুই পুলিশ কনস্টেবলের নাম উঠে আসে। ওড়িশার ওই যুবক জানায়, তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পুলিশের দুই কনস্টেবল সুব্রত ও পলাশের। তাকে মাদক সরবরাহ করতেন ওই দুই পুলিশ কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই এই লেনদেন চলছিল। এমনকি সুব্রত ও পলাশের সহকর্মীরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। পুলিশের চাকরি করার ফাঁকেই মাদক পাচারের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন দুজন। বনগাঁয় নাকি তাদের বিশাল বাড়ি। বিপুল সম্পত্তির মালিক তাঁরা। জীবনযাপনও রীতিমতো বিলাসবহুল। পুলিশ জানিয়েছে, মাদক পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস হয়ে গেছে বুঝতে পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন দুজনেই। শনিবার বনগাঁর চাঁদপাড়া এলাকার একটি পোলট্রি ফার্ম থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।