রাজ্য সরকারের সিলেবাস পাঠ্যক্রমে এবার করোনাভাইরাস (Coronavirus)। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম (Covid19 in WB syllabus) তা অন্তর্ভুক্ত করা হল। মূলত একাদশ শ্রেণির ‘ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশে এই পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের চরিত্র কী, কী ভাবে তা সংক্রমিত হয় তা বিস্তারিত আকারে উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে। শারীরশিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বইয়ে এই অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
এবার স্কুলের সিলেবাসে করোনা, কাদের পড়তে হবে?
Read More-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭১ তম জন্মদিন উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশে তৈরি হবে ১০৭০টি ‘নমো’ পার্ক
এর পাশাপাশি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যক্রমেও নোভেল করোনাভাইরাস বিস্তারিত আকারে উল্লেখ করা হতে চলেছে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত প্রোটোকলও অন্তর্ভুক্ত হবে এই পাঠসূচিতে এমনটাই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
Read More-ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বিএসএফের জালে ২ বাংলাদেশি
এতদিন সংক্রমিত রোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া থাকলেও কোনও রোগ সম্পর্কে এত বিস্তারিত উল্লেখ করা ছিল না। এবার এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ম্যালেরিয়া-সহ বিভিন্ন সংক্রমিত রোগ গুলি নিয়ে বিস্তারিত আকারে বর্ণনা দেওয়া হবে।
Read More-ইস্তফা দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে ?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর কাজল কৃষ্ণ বণিক বলেন “বিদ্যালয় স্তর থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে অন্তর্ভুক্তি প্রশংসনীয় এবং সাধুবাদযোগ্য। করোনাভাইরাস কোনও দিন চলে যাবে না। গোড়া থেকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে বোঝাতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন থেকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা হলে জনগোষ্ঠীর লাভ হবে।”
Read More-কয়লাকাণ্ডে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ED-র
যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যের কথায়, “স্কুল স্তর থেকে অন্তর্ভুক্তি প্রশংসনীয়। করোনাভাইরাস কী সেই সম্পর্কেও সারা বিশ্বে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে তা জনসমাজে জানানো গেলে লাভ হবে জনগোষ্ঠীর। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”
গত দুটো শিক্ষাবর্ষ জুড়ে কর্নার প্রকোপ দেখেছে সব বয়সের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই আপনজনকে হারিয়েছে। এই মুহূর্তে ভয় রয়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর চাইছে করোনা হোক বা অন্য কোনও মহামারী, এখন থেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠুক নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তাহলে ভবিষ্যতে আবার কোনও বড় সংক্রমণ হানা দিলে তা রুখতে তত্পর হতে পারবেন তারাই।