নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদকে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত নতুন বোর্ড গঠন না হচ্ছে, ততদিন দায়িত্ব সামলাবেন খলিল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই পদ থেকে শনিবার ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
শনিবারই কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ যে সমস্ত পুরসভা ও পুরনিগমে প্রাক্তন মেয়র বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসক হিসেবে বসিয়েছিল রাজ্য় সরকার, বিধানসভার ভোট চলাকালীন তাঁরা সেই পদে কাজ করতে পারবেন না। অন্য়দিকে সরানোর আগেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে শনিবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। রাতেই তিনি রাজ্যের পুর সচিব খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদে বসার পরেই ফিরহাদ হাকিমকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছিল বঙ্গ বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে এক কর্মী ও আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। রাজ্যের ১৩৫টি পুরসভা এবং পুর নিগমের মধ্যে ১২৫টির মেয়াদ শেষ হয় গত এপ্রিল-মে নাগাদ। সেগুলিতে এত দিন নির্বাচন না হওয়ায় কোথাও মেয়র, কোথাও বা চেয়ারম্যান এবং মেয়র পারিষদদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রভাব খাটাতে পারেন বলে সম্প্রতি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় বিজেপি। তার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে পুর-প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরিয়ে দিয়ে সরকারি আধিকারিকদের বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।