উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ বা জঙ্গলমহল সব জায়গায় সামনে আসছে হিংসার ঘটনার ছবি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বীরভূম, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, কোচবিহার, নদিয়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ নানা জেলায় বিজেপি নেতাদের গাড়িতে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির অভিযোগ সামনে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ এনেছে বামেরাও।
আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলাতেই প্রাণ গিয়েছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের আগরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর সদস্য ছিলেন কেতুগ্রামের মালগ্রামের বাসিন্দা ওই তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষ।
জানা যায়, সোমবার রাতে মালগ্রামে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
আগরডাঙ্গা পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান মিঠুন মিঞা জানান,
সেই সময় তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষ রাতে ধানকাটার কাজের শ্রমিকের জন্য এক পাড়ায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠিসোঁটা ও টাঙি নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়।
মিঠুন মিঞার অভিযোগ, তখনই শ্রীনিবাস ঘোষকে কোপানো হয়। তিনি আরও জানান, ওই সময় শ্রীনিবাস ঘোষকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুই তৃণমূল কর্মী জখম হন।
এরপর তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিত্সকরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী।