‘কেন্দ্র কৃষকদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি।’ কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে নতুন করে কৃষি আইন প্রণয়ন করতে হবে।
শুরু থেকেই দিল্লি সীমান্তে সাতমাস ধরে চলে আসা কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রতিদান দিয়েছেন দিল্লির কৃষক নেতারাও। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে এসে বিজেপি বিরোধী প্রচার করে গিয়েছেন তাঁরা। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোটের আগে মমতার সঙ্গে যে সুসম্পর্ক শুরু হয়েছে, ২৪-এর লোকসভার আগে তা আরও পোক্ত করার লক্ষ্যেই রাজ্যে এসেছিলেন কৃষক নেতারা।কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষক নেতারা চাইছেন সব বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে একত্রিত করে একটি ভারচুয়াল সভার আয়োজন করা হোক। সব রাজ্যকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হোক। যা তিনি সমর্থন করেছেন। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সব বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা,’এমন সব আইন পাশ করিয়েছে যাতে আজ কৃষি-শিল্প সব সমস্যায়। কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল করুক কেন্দ্র। আইন পাশ করানোর আগে কৃষকদের সঙ্গে কেন কথা বলেনি? জোর করে পাশ করিয়েছে। এটা সাত মাসের আন্দোলন। আর খালি পাঞ্জাব-হরিয়ানার বিষয় নয়, এটা গোটা দেশের বিষয়। সব রাজ্যকে একত্রিত করে আন্দোলন করতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব।’ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘রোজ পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। কৃষকরা চাষবাস কী করে করবে?’