কোচবিহারে আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রাথমিক রিপোর্টে কমিশনকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শীতলকুচির বিধানসভা কেন্দ্রের ওই বুথ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। তখনই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর জোটপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলি বুথে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই মধ্যে বুথ ঘিরে ফেলে কয়েক শ গ্রামবাসী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। তখন বাধ্য হয়ে গুলি চালান জওয়ানরা।
শীলতকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে এখনো পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪ জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের নাম হামিদুল হক, দিলদার আহমেদ, মনিরুল হক ও নুর আলম বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ দোলা সেন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কেন রক্তাক্ত হল, কমিশনের কাছে জানতে চায় বাংলার সাধারণ মানুষ।’ জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে বাহিনী।