দিল্লি সরকার শনিবার জানিয়েছে, আগামী দু’দিনের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লা না পেলে অন্ধকারে ডুবতে পারে রাজধানী। ভারতে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫। তারা দেশে মোট প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ৭০ শতাংশ উত্পাদন করে। অর্ধেক তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রেই বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা আছে, তাতে চলতে পারে বড় জোর তিনদিন। সেন্ট্রাল গ্রিড অপারেটরের দেওয়া তথ্যে একথা জানা গিয়েছে।
কয়লা সংকট! অন্ধকারে নেমে আসতে পারে রাজধানী দিল্লিতে
Read More-Durga puja 2021: এবার পুজোয় মেট্রোতে কড়া নজরদারি, মোতায়েন মহিলা RPF ও ডগ স্কোয়াড
দিল্লির বিদ্যুত্মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলিতে অন্তত এক মাসের জন্য কয়লা সঞ্চিত রাখা উচিত। কিন্তু এখন মাত্র একদিনের উপযোগী কয়লা রয়েছে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি, জরুরি ভিত্তিরে রেলের ওয়াগন ভর্তি করে কয়লা পাঠানো হোক। প্রতিটি তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র যে পরিমাণ বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারে, বর্তমানে তার ৫৫ শতাংশ উত্পাদন করছে মাত্র।’ সত্যেন্দ্র জৈনের অভিযোগ, কয়লার এই সংকট ‘ম্যান মেড’। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ও একইভাবে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেনের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।
Read More-শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পুজো অনুদানে সবুজ সংকেত হাইকোর্টের, দিতে হবে হলফনামা
দিল্লির বিদ্যুত্মন্ত্রী বলেন, এটা একটা রাজনীতি। অনেক সময় ইচ্ছা করে সংকট সৃষ্টি করা হয়। তারপর সেই সংকট সমাধানের কৃতিত্ব নেয় কায়েমি স্বার্থ। দিল্লির অদূরে বাওয়ানা অঞ্চলে একটি গ্যাসচালিত বিদ্যুত্কেন্দ্র ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করে। সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘দিল্লিতে যে তিনটি কোম্পানি বিদ্যুত্ সরবরাহ করে, তারা কেউ নিজেরা বিদ্যুত্ উত্পাদন করে না। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুত্কেন্দ্রের ওপরে নির্ভরশীল। যদি আর দু’দিনের মধ্যে কয়লা সরবরাহ না হয়, তাহলে পুরো শহরে ব্ল্যাক আউট হবে।’ সেন্ট্রাল গ্রিড রেগুলেটরের ডেলি লোড ডেসপ্যাচ ডাটায় দেখা যায়, অক্টোবরের প্রথম সাতদিনে বিদ্যুতের ঘাটতি হয়েছে সারা বছরের ঘাটতির ১১.২ শতাংশ। সারা বিশ্বেই বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্রগুলি এখন সংকটে পড়েছে। অতিমহামারীর ধাক্কা সামলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকায় বাড়ছে বিদ্যুতের দাম।
Read More-নজরে উপনির্বাচন! রাজ্যে আসছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
শনিবার কেজরিওয়াল টুইট করে জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, যে বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলি থেকে রাজধানীতে বিদ্যুত্ আসে, সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লা ও গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁর কথায়, ‘দিল্লিতে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাতে এই সংকটে নিজে হস্তক্ষেপ করেন, সেজন্য আমি তাঁকে চিঠি দিয়েছি।’
Read More-লখিমপুর খেরির ঘটনার প্রতিবাদে ভারত জুড়ে রেল অবরোধের ডাক সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার