গোরক্ষপুরের হোটেলে পুলিশি জুলুমে ব্যবসায়ী মৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মুখ পুড়েছে পুলিশেরও। ছয় পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেও বিতর্ক কমছে না। নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। বিচার চেয়ে মোদী এবং যোগী দুজনের কাছেই আবেদন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হোটেলে পুলিশি জুলুমে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, পুলিশ আধিকারিকদের চরম হুঁশিয়ারি যোগীর
Read More-আইকোর চিটফান্ড মামলায় CBI দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন যোগী হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, কোনওরকম অবৈধ কাজকর্মে লিপ্ত হলে তা বরদাস্ত করা হবে না এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করা হবে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে অভিযুক্তদের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশি হানা আর তারপর হোটেলে ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যুর জেরে তোলপাড় মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক গোরক্ষপুর। কানপুরের ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
Read More-টিকা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত মুম্বইয়ের মেডিক্যাল কলেজের ৩০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া
সরকার সূত্রে খবর, শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে আগেও বৈঠক করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তখনও পুলিশ কর্মীদের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন যোগী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এরকম পুলিশকর্মীদের জন্য ডিপার্টমেন্টে কোনও জায়গা নেই এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন পুলিশকর্মীদের চিহ্নিত করে তাঁদের তালিকা তৈরি করার জন্য।
Read More-IPL2021: আজ লড়াইয়ে মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও চেন্নাই সুপার কিংস
বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে যোগ পেলেই সেই পুলিশকর্মীদের বরখাস্ত করার নিদান দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি আরও বলেছেন, কারও ভাবমূর্তি খারাপ পাওয়া গেলেই তাঁকে বড় কোনও পদ দেওয়া হবে না। এদিকে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব নিহত ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, হাইকোর্ট মনোনীত তদন্ত কমিটি না গঠিত হলে ওই পরিবারের বিচার পাওয়া মুশকিল। বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।