পরিকল্পিত বন্যায় ভাসছে ঘাটাল। মাস্টার প্ল্যান করছে না কেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। বন্যায় ঘাটালের বিপর্যস্ত এলাকা গুলি আজ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা ব্যানার্জি। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা ব্যানার্জি। এদিন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। মমতা ব্যানার্জি বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটালের গ্রামবাসীদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। এর পাশাপাশি আকাশ পথেও ঘাটালের প্রত্যন্ত এলাকা গুলি ঘুরে দেখেন মমতা ব্যানার্জি। ঘাটালের একাধিক গ্রাম এখনও রয়েছে জলের তলায়। এ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র। DVC-র জল ছাড়ার জন্যই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঘাটালে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কেন্দ্রকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাব। আমি কলকাতায় পৌঁছে রিপোর্ট তৈরি করব। ঘর-বাড়ি, মাঠ-দোকান সবটাই ভেসে গিয়েছে। যাঁরা মানুষের পাশে রয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। সৌমেন মহাপাত্র, দেব, জুন মালিয়া সকলকে কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বলব। কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাব।’
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করছে না কেন্দ্র, ফের সরব হলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
Read More-দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্মবিদ্বেষী স্লোগান, গ্রেপ্তার বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র সহ ৫
একাধিক ড্যাম থেকে ছাড়া হয়েছে জল। শিলাবতী নদীতে বাড়ছে জল। টানা বৃষ্টিতে অন্যান্য নদী গুলিতেও বেড়েছে জল। যার জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘাটালের অধিকাংশ গ্রাম। ঘাটাল পুরসভার অন্তর্গত ১৭ টি ওয়ার্ডেও চজমেছে জল। জমা জলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। এর পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। কয়েকদিন আগেই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। সুব্রত বাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। নৌকায় চেপে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সুব্রত মুখার্জি। বন্যায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন সুব্রত মুখার্জি, সৌমেন মহাপাত্ররা। দ্রুত সমস্ত বিষয় সমাধান করা হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাসও দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। নৌকায় চেপে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের এবং জনপ্রতিনিধি দের সঙ্গে নিয়ে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
ঘাটালে অবস্থিত মহকুমা শাসকের দপ্তরেও ঢুকেছে জল। মহকুমা শাসকের দপ্তরের বাউন্ডারি ওয়ালের কিছু অংশ মেরামত করে দিয়েছে সেচ দপ্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঢুকছে জল। ঘাটালের ১২ টি পঞ্চায়েত এলাকা চলে গিয়েছে পুরোপুরি জলের তলায়। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে নদীগুলিতে জলস্তর এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানাচ্ছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন।