More
    Homeখবরচলে গেলেন মাধুরী দীক্ষিতের মা

    চলে গেলেন মাধুরী দীক্ষিতের মা

    Today Kolkata:-  চলে গেলেন মাধুরী দীক্ষিতের মা । বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের মা স্নেহলতা দীক্ষিত মারা গেছেন। সূর্যের প্রথম কিরণের সঙ্গেই দুঃসংবাদ পেয়ে শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী। ১২ ই মার্চ রবিবার প্রয়াত হলেন মাধুরী দীক্ষিতের মা স্নেহলতা দীক্ষিত (Snehalata Dixit)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।  রোববার মুম্বাইয়ে নিজ বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। এক যৌথ বিবৃতিতে মাধুরী ও তার স্বামী ড. শ্রীরাম নেনে খবরটি জানিয়েছেন।

     

    লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় আই স্নেহলতা আর নেই। আজ সকালে প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন স্নেহলতা দীক্ষিত। রবিবার বিকেল তিনটার দিকে তার শেষকৃত্য হবে বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে এই প্রয়াণে মাধুরীর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বলিউডের অনেকেই এই খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন।

     

    চার ভাই-বোনের মধ্যে মাধুরী সবথেকে ছোট। তাই তার অভিনয় কেরিয়ারে প্রথম দিন থেকেই মা ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। শুটিং সেটে সারাক্ষণ মেয়েকে সঙ্গে করেই নিয়ে যেতেন তিনি। সারাক্ষন আগলে রাখতেন কনিষ্ঠা কন্যাকে। তাই এই প্রিয় মানুষকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানিয়েছিলেন, ‘সিনেমায় কাজ করার পরও ঘর এলোমেলো করার জন্য মায়ের কাছে প্রচুর বকা খেয়েছি। এভাবেই বড় হয়েছি। এখনও বকা খাই, তবুও একই রয়ে গিয়েছি।’

    আরও পড়ুন – Panchayet Election পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজের টাকায় ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার নির্মাণ ও সংস্কার রাজ্যের।

    উল্লেখ্য, মাধুরী দীক্ষিত ১৯৮৪ সালে অবোধ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। কিছু শিশু ও সহ-অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ের পর তিনি তেজাব (১৯৮৮) ছবিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছবিটিই তাকে খ্যাতির উচ্চতর আসনে বসায় ও প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়। তারপর তিনি বেশকিছু হিট ছবিতে অভিনয় করেন, তারমধ্যে রয়েছে রাম-লক্ষ্মণ (১৯৮৯), পরিন্দা (১৯৮৯), ত্রিদেব (১৯৮৯), কিশেন কানহাইয়া (১৯৯০) এবং প্রহর (১৯৯১)। ঐ ছবিগুলোয় একত্রে অভিনয়ের কারণে অনিল কাপুরের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হয়।

     

    ইন্দ্র কুমারের দিল (১৯৯০) ছবিতে মাধুরী আমির খানের সাথে অভিনয় করেন। ছবিতে তিনি মধু মেহরা নামে একটি ধনী ও উগ্র মেজাজের বালিকা হিসেবে রাজা’র প্রেমে পড়েন এবং তাকে বিয়ে করে বাড়ী ত্যাগ করেন। চলচ্চিত্রটি ভারতে সে বছরের অন্যতম বক্স-অফিস হিট তকমা লাভ করে এবং অনবদ্য অভিনয়ের কারণে মাধুরী তার প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন। দিল ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য অনুসরণ করে সাজন (১৯৯১), বেটা (১৯৯২), খলনায়ক (১৯৯৩), হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..! (১৯৯৪) এবং রাজা (১৯৯৫) বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। চলে গেলেন

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments