Today Kolkata:- চার বছরের স্নাতক কোর্স বিষয়ে উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করবে রাজ্য। -চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে কমিটি গঠন করব। উপাচার্যদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে কমিটি। তার পর এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’শনিবার, ভাষামেলার উদ্বোধন করে জানালেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তিনি জানিয়ে দেন, উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি হবে। সেই কমিটি মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
ভাষামেলার উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি ও আবুল বাশার-সহ বিশিষ্টরা। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, মাতৃভাষার যেন সাড়ম্বর উদযাপন হয়। তাই এই ভাষামেলার আয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে তো প্রথম, যে কোনও রাজ্যে এই প্রথম ভাষামেলা উদযাপন হল। এই রীতি জারি রাখা হবে।’’
এদিন, ভাষামেলায় রাজ্যের স্কুলে বাংলা ভাষা পড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি ইংরেজি মিডিয়াম হলেও বাংলা পড়তে হবে। বেসরকারি স্কুলে বাংলা পড়ানোর দাবি জানাতে পারি। আমার ধারণা, অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলে বাংলা পড়ানো হয়। যাঁর যা মাতৃভাষা, তাঁর কাছে তা গুরুত্বপূর্ণশিক্ষামন্ত্রীর মতে, চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হলে প্রচুর অর্থ ও পরিকাঠামোরও প্রয়োজন।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সেই পরিকাঠামো রয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এই বিষয়ে ইউজিসি মৌন্য। অর্থের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের স্পষ্ট নির্দেশিকার দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী।এদিন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে কমিটি গঠন করব। উপাচার্যদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে কমিটি। তার পর এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’
প্রসঙ্গত,আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ জুলাই থেকে নয়া নিয়ম কার্যকর কথা রয়েছে। স্নাতক পাঠ্যক্রম নিয়ে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা উল্লেখ করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। রেজিস্ট্রারদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আওতাধীন কলেজগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য কয়েক বছর আগে থেকেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের সময়সীমা দু’বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করার কথা রয়েছে। যদিও এদিন রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা পাঠায়নি।
এতদিন যা ছিল তিন বছরের। তবে তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সও থাকছে। সেক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি মিললেও অনার্স মিলবে না। স্নাতকের দু’টি সেমেস্টার (প্রথম বর্ষ) উত্তীর্ণ হলে সার্টিফিকেট কোর্স, চারটি সেমেস্টার (দ্বিতীয় বর্ষ) উত্তীর্ণ হলে ডিপ্লোমা বলে গ্রাহ্য হবে। চার বছরের কোর্সটি গবেষণাভিত্তিকও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।। তবে এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।কেননা শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে এমনই মনে করছেন শিক্ষামহল।